যাত্রীর চাপে বিকল দ্রুতযান এক্সপ্রেস, ভোগান্তি ঘরমুখো মানুষের
২১ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:০১
ঢাকা: পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। এদিন রাত ১২টার কিছু সময় পর ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্তে ঘণ্টাখানেক ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। পরবর্তীতে অন্যান্য ট্রেন দ্রুতযান এক্সপ্রেসকে অতিক্রম করে গেলেও ত্রুটি সারানোর আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। পরবর্তীতে রাত ২টা ২৬ মিনিটের দিকে গন্তব্যস্থলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে দ্রুতযান এক্সপ্রেস।
এদিন নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৫০ মিনিট পরে কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করে। বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে ছাড়ে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্তে দাঁড়ানো অবস্থায় একাধিক যাত্রী জানান, ট্রেনের ভেতরে চলাচলের অবস্থাও না থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের। একদিকে গরম ও অন্যদিকে ট্রেন দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় শিশু ও বৃদ্ধদের দুর্ভোগ বাড়ে।
এর আগে, রাত ৮টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করে পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস। প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীতে পূর্ণ হয়ে যায় ট্রেনটি। পাশাপাশি যাত্রীতে ভরে যায় পুরো ছাদ। এরপর আনসার ও রেলওয়ে পুলিশ লাঠিচার্জসহ বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও মাত্র কয়েকজনকেই ছাদ থেকে নামাতে পেরেছেন। পরে প্রায় ৫০ মিনিট দেরিতে ছাদে যাত্রীসহ প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
পরবর্তীতে ট্রেনটি বিমানবন্দর স্টেশনে প্রবেশ করলে আরেক দফা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
রেলওয়ের পুলিশ পরিদর্শক মামুন বলেন, ‘সব গার্মেন্টসের লোকজন আজ ছুটি শেষে বাড়ি যাচ্ছে। স্টেশনে এসে তারা টিকিট না পেয়ে পাথর নিক্ষেপ করেছে। এরপর সবাইকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। কারণ পাথর নিক্ষেপ বুলেটের চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর।’
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সহকারী কমান্ড্যান্ট ফিরোজ আলী বলেন, ‘প্রথমে কয়েক বার গেট ভেঙে ঢুকেছিল যাত্রীরা। পরে আবার আমরা বের করে দিয়েছিলাম। তারপর আবার রেলওয়ের চারপাশ থেকে অ্যাটাক করছে।’
বিমানবন্দর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘একটি পক্ষ থাকে, যারা বিনা টিকিটেই প্রতি বছর যাওয়ার পাঁয়তারা করে। আজকে গার্মেন্টস ছুটির পর শ্রমিকদের একটি গ্রুপ একই পাঁয়তারা করেছে। পরে বিমানবন্দর স্টেশনে হামলা চালিয়েছে। যাত্রীদের চাহিদার তুলনায় আমাদের টিকিট অত্যন্ত কম। ১০০ পার্সেন্ট অনলাইন। আর ২৫ পার্সেন্ট সিট ছাড়া টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু তবুও আমাদের এ সিটও ছিল না। যার কারণে যাত্রীরা হামলা চালিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাত্রীদের চাপ কমলে আমরা স্টেশন পর্যবেক্ষণ করে কোথায় কী ক্ষতি হয়েছে, তা দেখব। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।’
সারাবাংলা/এসবি/এমও