Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঈদের দিনে রেজাউল-মাহতাব-নাছিরের বাসায় নওফেল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২২ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৫০

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের প্রবীণ ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের বাসায় গিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত নগরীতে তিন নেতার বাসায় গিয়ে উপমন্ত্রী নওফেল ঈদের সৌজন্যতা বিনিময় করেন। এসময় নওফেলের ভাই বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীনও তার সঙ্গে ছিলেন।

সাংগঠনিক পদ-পদবিতে জ্যেষ্ঠ্য-কনিষ্ঠের ভেদাভেদ ঘুচিয়ে নেতাদের বাসায় বাসায় গিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের রীতি চালু করেছিলেন নওফেলের বাবা প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নওফেলও বাবার দেখানো পথেই হাঁটছেন।

শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন নওফেল। বেলা ১২টা পর্যন্ত তিনি বাসায় নেতাকর্মীদের সময় দেন। এরপর নেতাদের বাসার উদ্দেশে বের হন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের বাসায় গিয়ে তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

বাসা থেকে বেরিয়েই প্রথমে নওফেল নগরীর বহদ্দারহাটে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসায় যান। সেখানে প্রায় আধাঘন্টা অবস্থানের পর দামপাড়ায় প্রবীণ নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর বাসায় আসেন। এসময় নওফেলের সঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরশেনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীও ছিলেন।

মাহতাবের বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি যান নগরীর আন্দরকিল্লায় আ জ ম নাছির উদ্দিনের বাসায়। জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গনে ঈদের নামাজে এক কাতারে দাঁড়িয়েছিলেন তারা। সেসময় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হলেও নিজ থেকেই আবার নাছিরের বাসায় যান নওফেল।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নওফেলের বাবা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিপরীত মেরুতে ছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। তবে বাবার সঙ্গে রাজনৈতিক দূরত্ব থাকলেও ছেলে নওফেল সেটা ধরে রাখেননি। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হওয়া নওফেলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন নাছির।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের এক জ্যেষ্ঠ নেতা সারাবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রামের রাজনীতিতে নওফেলের বাবাও ব্যতিক্রমী কিছু শিষ্টাচার চালু করেছিলেন। আমাদের রাজনীতিবিদদের যে অবস্থা, কেউ সাংগঠনিক পদ-পদবিতে একটু ওপরে উঠে গেলে কিংবা নির্বাহী কোনো দায়িত্ব পেলে, পদ-পদবিহীন নেতাদের কাছে টেনে নেওয়াকে অযোগ্যতা ভাবেন, সেটা ভেঙে দিয়েছিলেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। বাবা যেমন স্বাভাবিক সৌজন্যতা বজায় রাখতে কার্পণ্য করেননি, নওফেলও তার বাবাকে অনুসরণ করছেন।’

জানতে চাইলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘ওনারা আমার পিতৃতুল্য নেতা। আমার বাবার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। তাদের রাজনীতির বয়স আমার বয়সের চেয়েও বেশি। বাসায় গিয়ে তাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানানোটা স্বাভাবিক শিষ্টাচারের মধ্যেই পড়ে। নিজেকে বড় ভাবা, বড়দের অসম্মান করা- এই রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আমাদের সৌজন্যতাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।’

চট্টগ্রাম নগরীর টানা ১৭ বছরের মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মহিউদ্দিন চৌধুরী নওফেল একাদশ সংসদ নির্বাচনে কোতোয়ালী আসন থেকে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তরুণ এই সংসদ সদস্য মন্ত্রীসভায়ও স্থান পেয়েছেন।

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ

ঈদুল ফিতর নওফেল

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর