ঢাকার যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই ফাঁকা
২৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:২৯
ঢাকা: যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই ফাঁকা। নেই কোনো যানজট, নেই গাড়ির হর্ন। সেই সঙ্গে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দিয়েছে এক শীতল পরিবেশ। এ যেন নীরব শহরে নগরবাসীর জন্য এক প্রশান্তিময় পরিবেশ। ঈদের দ্বিতীয় দিনে এমন দৃশ্যই বিরাজ করছে রাজধানী ঢাকায়।
রোববার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো ফাঁকা দেখা গেছে। সড়কে বেশি যানবাহন না থাকলেও রিকশা ও সিএনজির উপস্থিতি রয়েছে।
রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলে কোনো গাড়ির চাপ দেখা যায়নি। দুই একটা বাস দেখা গেলেও তাতে যাত্রী সংখ্যা একেবারেই কম। যারা উঠেছেন, তাদের বেশিরভাগই ঘুরতে বেড়িয়েছেন। নিউ ভিশন বাসের চালক রহমান জানান, ঈদের দুই তিন দিন যাত্রী সংখ্যা কমই থাকে। যারা ওঠেন বেশিরভাগ ঘুরে বেড়ানোর জন্য আসেন।
বাসটির যাত্রী সোহাগ ইসলাম জানান, পরিবার নিয়ে চিড়িয়াখানা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসে উঠেছেন। রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকার কারণে বাসে দ্রুত পৌঁছানো যাবে বলেই বাসে উঠেছেন। তিনি অভিযোগ করেন ঈদের দ্বিতীয় দিনেও জনপ্রতি ১০ টাকা করে বেশি ভাড়া নিয়েছে।
ভাড়া আদায়কারী সুজন মিয়া জানান, ঈদের সময় যাত্রী একেবারেই কম থাকে। তাছাড়া বকশিশ হিসেবেই দুই দিন একটু বেশি ভাড়া নিই। সোমবার থেকে আগের ভাড়াতেই চলবে। এদিকে কাঁকরাইল, শাহাবাগ, নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাব, মিরপুর রোড, মৌচাক, বাংলামোটর, বিজয়সরণি, আগারগাওয়ের মতো স্থানগুলো অন্যান্য দিন জ্যামে ঠাসা থাকলেও এখন প্রায় গাড়ি শূন্য।
এদিকে রিক্সা সিএনজির ভিড় দেখা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। অনেকেই টিএসসি ও এর আশেপাশে ঘুরতে এসেছেন এসকল ছোট যানবাহনে চেপে। এমন ভিড় দেখা গেছে রমনা পার্কের আশে পাশেও। এছাড়া প্রধানসড়কগুলো প্রায় খালিই ছিলো। মানুষের যাতায়াত কম হওয়ায় এসকল সড়ক আজও ফাঁকা। এ সকল এলাকায় গাড়ির চাপ নেই। নগর জুড়েই চলছে ছুটির আমেজ।
তবে বাড়তি আয়ের জন্য রিক্সা এবং সিএনজি নিয়ে বেরিয়েছেন অনেকে। সেগুনবাগিচা এলাকায় কথা হয় সিএনজি চালক নুরুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি জানান, তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকাতেই থাকেন। পাঠাও-উবারের মতো অ্যাপগুলো আসার পর থেকে সিএনজির চাহিদা কমে গেছে। ফলে ঈদের দিনগুলোতে বাড়তি ইনকামের আশায় এ সময় গাড়ি চালান তিনি।
রিকশাচালক মজিদ মিয়া বলেন, ‘ঈদের সময় যানবাহন কম থাকায় মানুষ ঘুরে বেড়াতে বিপদে পড়েন। এ সময় রিকশা নিয়ে বের হলে কিছুটা বাড়তি ইনকাম হয়। সে জন্য রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন। তাছাড়া এখন রাস্তাগুলোতে বাধা বিপত্তি না থাকায় দূরের স্থানগুলোতেও যাত্রি পরিবহন করা যায়।’
এবার টানা ছয় দিনের ছুটি প্রায় শেষের দিকে। সোম ও মঙ্গলবার পর্যন্ত রাস্তাঘাট এমন ফাঁকা থাকলেও বুধবার থেকে ভিড় বাড়তে থাকবে মানুষ এবং যানবাহনেরও।
সারাবাংলা/জেআর/ইআ