আশানুরুপ পর্যটক নেই বান্দরবানে
২৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:১৪
বান্দরবান: প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে বান্দরবানের মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি, চিম্বুক, রিজুক ঝর্ণা, বগালেক, উপবন, মিরিঞ্জা, প্রান্তিকলেক তিন্দু বড় পাথর, রেমাক্রী খাল, নাফাকুম, আমিয়া কুম, দেবতাকুমসহ বিভিন্ন পর্যটনগুলোতে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। এবারের ঈদে টানা পাঁচ দিনে ছুটিতেও বান্দরবানের পর্যটন স্থান ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে আশানুরূপ পর্যটক নেই। নেই ঈদের আমেজ।
গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড তাপদাহ আর বিভিন্ন উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকায় এমনটি হয়েছে বলে ধারণা পর্যটন সংশ্লিষ্টদের। তবে পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানের পর তিন উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে দিলে শিগগিরই বান্দরবানের পর্যটনখাতগুলো জমজমাট হয়ে উঠবে বলে তাদের আশাবাদ।
হোটেল মোটেলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগে যেখানে শতভাগ বুকিং থাকতো সেখানে এবারের ঈদে শতকরা ১০ ভাগও বুকিংও নেই। এসব কারণে পর্যটন নির্ভর সকলে লোকসান গুনছেন।
হোটেল নাইট হ্যাভেনের ম্যানেজার ওমর ফারুক জানান, অন্যান্য বছর এ সময় হোটেল কক্ষগুলো অগ্রিম বুকিং নেওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। তবে এবারের প্রেক্ষাপট অনেকটাই ভিন্ন। এ পর্যন্ত হোটেলের মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বুকিং নিয়েছে ভ্রমণ প্রত্যাশীরা।
হোটেল গার্ডেন সিটির দায়িত্বে থাকা মো. আরমান জানান, ঈদের টানা ছুটিতে এবার মাত্র হোটেলের ১০ শতাংশ বুকিং নিয়েছে পর্যটকরা।
হোটেল হিলভিউর জিএম রিয়াজ জানান, প্রত্যাশা অনুযায়ী হোটেল কক্ষ বুকিং হয়নি। এবার ২০ শতাংশ হোটেল বুকিং হয়েছে। বাকিগুলো সম্পূর্ণ খালি।
বান্দরবান আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, বর্তমানে বান্দরবানে পাঁচ হাজারেরও বেশি পর্যটক ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। টানা ছুটি থাকলেও জেলার হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোর মাত্র ১০ শতাংশ রুম অগ্রিম বুকিং হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারেও পর্যটক বাড়বে বলে প্রত্যাশা তার।
এদিকে বান্দরবানে বেড়াতে আসা পর্যটক নুসরাত জাহান বলেন, বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলো খুবই সুন্দর। দেখলেই মন জুড়িয়ে যায়। এত সুন্দর পরিবেশ তা ভাবতেই পারছি না।
আরেক পর্যটন জসিম উদ্দিন জানান, এখানকার পর্যটন কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি রাস্তাঘাটগুলোও চমৎকার। সব কিছুই নজর কাড়ে। এখানকার গাছপালা, পাহাড় সবকিছুই যেন সৃষ্টিকর্তার এক অপূর্ব সৃষ্টি।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন জানান, ঈদুল ফিতরের টানা ছুটিতে বান্দরবানে পর্যটক এসে যেন সাচ্ছন্দ্যে বেড়াতে পারেন সেজন্য প্রতিটি স্পটকে সাজানো হয়েছে। সম্প্রতি নতুন করে নির্মিত বান্দরবান কেরানীহাট সড়কটিও পর্যটকদের আর্কষণ করছে। ইতোমধ্যে এ সকটির উভয় পাশে নতুন করে ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে যেন পর্যটকরা দেখে মুগ্ধ হয়। আশা করছি পর্যটকরা এবার বান্দরবানের নীলাচল, মেঘলা, নীলগিরিসহ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত সকল স্পটে নিরাপদে ঘুরতে পারবে ও সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবে।
সারাবাংলা/ইআ