তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আগামী মাসে ‘উত্তপ্ত কর্মসূচি’
২৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৩৪
ঢাকা: সরকারবিরোধী দলগুলো একদিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে একইসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচনের দাবিতে রাজপথ উত্তপ্ত করার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। বিরোধী দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদের মধ্যে গণসংযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। জনগণকে আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে তারা।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষভাবে করতে ১০ দফা দাবি গণতন্ত্র মঞ্চও সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ১৬ দফা দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব আসেনি। সরকারের প্রস্তাব কী? তা জানতে পারলে আন্দোলন বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় র্নিবাচন করার দাবিতে আগামী মাস থেকে রাজপথ উত্তপ্ত হতে হচ্ছে। প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধীদলগুলো যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তাদের কর্মসূচির মধ্যে থাকছে লংমার্চ, রোডমার্চ, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ঘেরাও। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর একাধিক সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, চলতি মাসের ৩০ তারিখ ৭ দলীয় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ আন্দোলনের বিষয় নিয়ে বৈঠক করবে। এরপরই তারা মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলন কর্মসূচির বিষয় চূড়ান্ত করবে। মে মাসের ১৫ তারিখ থেকে রাজপথ উত্তপ্ত করার মতো কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের মতো কোনো কর্মসূচি দেবে না বিএনপি যা তারা সফল করতে পারবে না।
২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপি সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচি দেয়। বিএনপির ওই কর্মসূচি তখন সফল হয়নি।
এ সব বিষয় নিয়ে ৭ দলীয় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘চলতি মাসের ৩০ তারিখ ৭ দলীয় গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক আছে। ওই বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে। এরপর বিএনপির সঙ্গে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের টার্গেট মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে আন্দোলনকে উচ্চপর্যায় দিকে নিয়ে যাওয়ার।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বিরোধী দলের আন্দোলনের প্রস্তুতি হচ্ছে। আন্দোলনের প্রস্তুতিই হচ্ছে নির্বাচনের জন্য। আমরা চাই জনগণকে মাঠে নামাতে এবং দাবি আদায় করতে। কারণ এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ৭ দলীয় গণতন্ত্র মঞ্চ এবং বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে রাষ্ট্র মেরামত ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রস্তাব পেশ করেছি। কিন্তু সরকারের প্রস্তাব কী? তা সরকারের পক্ষ থেকে জাতিকে জানানো হয়নি।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে