বাদল-মোছলেমের উত্তরসূরী নির্বাচন চলছে
২৭ এপ্রিল ২০২৩ ১০:২২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ নির্বাচন চলছে। বিএনপিসহ মূল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো না থাকায় উত্তাপ ছাড়াই চলছে ভোটগ্রহণ।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ছোট কয়েকটি রাজনৈতিক দল মিলিয়ে মোট পাঁচজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তারা হলেন- নৌকা প্রতীকের নোমান আল মাহমুদ, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মোমবাতি প্রতীকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- এনপিপি’র কামাল পাশা এবং একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী।
নৌকার প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ সকালে নগরীর বহদ্দারহাটে এখলাছুর রহমান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন। এরপর তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হচ্ছে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কেউ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইলে ছাড় দেওয়া হবে না।’
কর্ণফুলী নদীর উত্তরে মহানগরীর চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ থানা এবং দক্ষিণে বোয়ালখালী উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৮ আসন। এ আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন এবং দুই লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ নারী।
মোট ভোটকেন্দ্র ১৯০টি। এর মধ্যে ৭৬টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ১৭ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে। বাকি সাধারণ কেন্দ্রের প্রতিটিতে ১৬ জন সদস্য মোতায়েন আছে। বিজিবি, র্যাব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। তিনিও ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০০৮ সাল থেকে পরপর তিন দফায় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরীক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদল। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর তিনি মারা গেলে চলতি মেয়াদের প্রথম দফায় আসনটি শূন্য হয়েছিল।
সারাবাংলা/আরডি/ইআ