চট্টগ্রাম ব্যুরো: স্মার্ট ডিভাইস শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম বুঝতে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, স্মার্ট সিটিজেন তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত স্মার্ট ডিভাইস শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন বোঝার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের এলজিইডি মিলনায়তনে জেলা পরিসংখ্যান অফিসের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার’ হিসেবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘মোবাইল ট্যাবলেট’ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মোবাইল ট্যাবলেট স্মার্ট সিটিজেন বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনলাইনভিত্তিক নানা ধরনের কোর্স শেখার মাধ্যমে শিক্ষাকে আরো আনন্দদায়ক করে তুলবে। পাশাপাশি মোবাইল ট্যাবলেট স্মার্ট সিটিজেন বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে। দলবদ্ধভাবে শেখার মধ্যে আনন্দ আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র নিজে ভালো ফলাফল করার মানসিকতা নিয়ে বেশি দূর এগিয়ে যাওয়া যায় না। স্বার্থপর শিক্ষার্থী বড় হয়ে স্বার্থপর পেশাজীবী বা চাকরিজীবী হবে। তখন সে মানুষের স্বার্থের কথা বাদ দিয়ে নিজের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। তাই শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল করার পাশাপাশি ভালো মানুষ হতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষায় সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করেছেন বলে মন্তব্য করে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল। তিনি বলেন, ‘আগে ভালো ভালো স্কুল ছিল, কিন্তু সাধারণ মানুষের পড়ালেখার সুযোগ ছিল না। একসময় সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তানরাই এসব স্কুলে পড়ালেখা করতো। তারা ভালো সুযোগ সুবিধা পেত। পক্ষান্তরে সাধারণ পরিবারের সন্তানরা ভালো স্কুলও পেত না, শিক্ষাও পেত না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করেছেন। এরই অংশ হিসেবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে এ স্মার্ট ডিভাইস দেওয়া হচ্ছে। এটি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিখতে পারবে।’
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম মহানগরের সরকারি ও এমপিওভুক্ত স্কুলের ৪৫০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ট্যাবলেট বিতরণ হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় প্রথম ধাপে ৯ হাজার ৮০০টি ট্যাবলেট বিতরণ করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন- চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিনুর রহমান, জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক মো. ওয়াহিদুর রহমান ও জেলা শিক্ষা অফিসার ফরিদুল আলম হোসাইনী।