আলু রফতানির বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
২৭ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:১৩
ঢাকা: জাপানে যাবে দেশের আলু। বাংলাদেশ উৎপাদিত ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আমদানিতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপানের একটি কোম্পানি। নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানিকৃত ভ্যালেন্সিয়া জাতটি দেশে এসিআই কোম্পানি প্রচলন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জাপানের টোকিওতে ওয়েস্টইন হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে জাপান সফররত কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এর সঙ্গে জাপানি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা সেইয়া কাদৌ (SEIYA KADOU) সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানান। এসময় এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট এফএইচ আনসারী উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘দেশে বছরে ১ কোটি টনের বেশি আলু উৎপাদন হয়। চাহিদা রয়েছে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টনের মতো। দেশে বর্তমানে যেসব জাতের আলু উৎপাদিত হচ্ছে, তার চাহিদা বিদেশে অনেক কম। সে জন্য রফতানিযোগ্য ও শিল্পে ব্যবহার উপযোগী আলুর জাত সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে সরকারিভাবে বিএডিসির মাধ্যমে বিদেশ থেকে অনেকগুলো উন্নত জাত আনা হয়েছে, সেগুলো কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণের কাজ চলমান আছে। পাশাপাশি, আলুকে আমরা অনিয়ন্ত্রিত ফসল বা ডিনোটিফায়েড ঘোষণা করেছিলাম যেন বেসরকারিভাবে উন্নত জাত আনা সহজ হয়। এ ঘোষণার পর থেকে বেসরকারিভাবেও আলুর অনেক উন্নত জাত দেশে এসেছে, নিবন্ধিত হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘রফতানিযোগ্য এ সব আলুর জাত চাষের ফলে আলু রফতানির বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।’
বাংলাদেশ থেকে ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলুর নমুনা নিয়ে জাপানের ল্যাবরেটরিতে টেস্ট করা হয়েছে বলে জানান জাপানি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা সেইয়া কাদৌ। তিনি কৃষিমন্ত্রীকে জানান, এ জাতের আলু মানসম্পন্ন ও সুস্বাদু।
উল্লেখ্য, আলুকে অনিয়ন্ত্রিত ফসল ঘোষণা বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এরই প্রেক্ষাপটে এসিআই সীড ২০২০ সালে এসিআই আলু-১০ (ভ্যালেনসিয়া) নামক আলুর বীজ নিবন্ধন পায়, যা নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানিকৃত। জাতটিতে প্রায় ২১ শতাংশ ড্রাই মেটার আছে বিধায় এটি শিল্পে ব্যবহার উপযোগী।
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে