ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানের ৮ বছরের কারাদণ্ড
৩০ এপ্রিল ২০২৩ ১২:০৫
ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে পৃথক দুই ধারায় ৮ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
রোববার (৩০ এপ্রিল) সকালে ঢাকার আট নম্বর বিশেষ জজ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞা এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তার ১১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৭ মাস কারাভোগ করতে হবে।
এছাড়াও আরেক ধারায় অর্জিত সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজায়াপ্তের ঘোষণার আদেশ দেন। সাজা একত্রে চলবে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ তাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থেকে সেলিম প্রধানকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তার স্ত্রীও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৬ এর বিচারক আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন। মামলায় ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।
২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় তার বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ওই বছরের ১৭ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। চার্জশিটে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকার জ্ঞাতআয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন এবং ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও ইউএসএতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
সেলিম প্রধানকে ২০১৯ সালেল ৩০ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে র্যাব-১। এরপর তার গুলশান, বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নগদ ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে হরিণের চামড়া পাওয়া যাওয়ায় ওইদিনই সেলিম প্রধানকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান।
ওই ঘটনায় গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মানিলন্ডারিং আইনে দু’টি মামলা করে র্যাব। ওই মামলাগুলোয় তাকে কয়েকদফা রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে।
সারাবাংলা/এআই/এমও