সুদানে দুই সশস্ত্র বাহিনীর সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২৮। এর মধ্যে ৪১১ জনই বেসামরিক। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতাহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সংঘর্ষে এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৪৫৯৯ জন। সুদানের ১৮টি রাজ্যের মধ্যে ১২টিতেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, সুদানের রাজধানী খারতুম, রাজ্য ব্লু নিল, নর্থ করদোফান, দারফুর থেকে এ পর্যন্ত ৭৫ হাজার মানুষ পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
গত ১৫ এপ্রিল সুদানের রাজধানীতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল লড়াই শুরু হয় দেশটির আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ-এর। সুদানের সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। আর আধাসামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে জেনারেল মোহাম্মদ দাগালো।
দুই বাহিনীর লড়াইয়ে সুদানজুড়ে চরম মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধদুর্গতদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর রাস্তা নির্বিঘ্ন করতে শুক্রবার ৭২ ঘণ্টার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয় দুই পক্ষ। তবে অস্ত্রবিরতি পালন করেনি কোনো পক্ষই। শনিবার ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে দুই পক্ষই।
এদিকে আরএসএফ এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, খারতুমের পার্শ্ববর্তী শহর ওমদুরমানে সেনাবাহিনীর একটি উড়োজাহাজ গুলি করে ভূপাতিত করেছে তারা।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে সুদানে কোনো কার্যকরী সরকার নেই। সে সময় এক অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামডোকের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বরখাস্ত করেছিল। তখন থেকেই দেশটিতে জরুরি অবস্থা চলছে।
দুই সশস্ত্র বাহিনীর চলমান সংঘর্ষের ব্যাপারে সুদানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামডোক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে সর্বাত্মক গৃহযুদ্ধের গুরুতর প্রভাব বিশ্বব্যাপী পড়বে। তিনি বলেন, এটি সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষ নয়। এই সংঘর্ষে দুই পক্ষই প্রশিক্ষিত, সামরিক সজ্জায় সজ্জিত, তাদের কাছে ভারী অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে।