রাজধানীতে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ ১০
১ মে ২০২৩ ১৮:৫৩
ঢাকা: রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে শিশু ও নারীসহ ১০ জন দগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে একই পরিবারের তিন জন রয়েছেন। সোমবার (১ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুরাতন বার্ন ইউনিটে এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন- মো. সোহেল (৪৮), মেহেদী হাসান (২২), আলী হোসেন (৫২), রাশেদ মিয়া (৩২), শাহারা বেগম (৬৫),ও মিজানুর রহমান(৩২) এবং অপর একজনের পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া একই পরিবারের দগ্ধ তিন জন হলেন- আব্দুর রহিম (৫০), তার মেয়ে মিম আক্তার (২২) ও নাতি আলিফ (২)।
দগ্ধ আব্দুর রহিমের ছেলে আল-আমিন জানান, তাদের বাসা ও দোকান ধূপখোলা বাজারে। বাসার পাশেই মুদি দোকান। ওই দোকানে তার বাবা আ. রহিম বসে ছিলেন। আর পাশেই ছিলো তার বোন ও বোনের শিশু সন্তান। দোকানের সামনের রাস্তায় তিতাস গ্যাস লাইনের কাজ চলছিল। সকালে হঠাৎ সেখান বিস্ফোরণ হয়। এতে তাদের শরীরে আগুন ধরে যায়। গত কয়েকদিন ধরেই তিতাসের লাইন মেরামতের কাজ চলছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটের কর্তব্যরত এক চিকিৎসক বলেন, ‘ধূপখোলা বাজার থেকে প্রথমে দগ্ধ তিন জন এসেছেন। তাদের মধ্যে দু’বছরের এক শিশু রয়েছে। আব্দুর রহিমের শরীরের ৩০ শতাংশ, তার মেয়ে মিমের ২০ শতাংশ ও শিশুটি সামান্য দগ্ধ হয়েছে।’
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে রাস্তার গ্যাসলাইনে কাজ করার সময় লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজনসহ ১০ জন দগ্ধ হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গেন্ডারিয়া ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ১০ জন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসেন। তারা সবাই পুরাতন বার্ন ইউনিট ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টির সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সারাবাংলা/পিটিএম