Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কবির বিন আনোয়ারের সামনেই চেয়ার ছোড়াছুড়ি-হাতাহাতি, আহত ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২ মে ২০২৩ ১৯:৫২

নাটোর: নাটোরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল ও উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের সমর্থক ও নেতাকর্মীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে শহরের কান্দিভিটুয়া জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতরা হলেন-তামিম হোসেন (১৮), মাসুদ (৪৪) ও নাহিদ হোসেন (২০)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে আওয়ামী লীগের নাটোরে স্মার্ট কর্নার উদ্বোধন ও আগামী দ্বাদশ নির্বাচন সামনে রেখে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নেতাকর্মীর সঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক মতবিনিময় সভা এবং দিকনির্দেশনামূলক সভায় প্রধান অতিথি কবির বিন আনোয়ার উপস্থিত হন।

এর কিছুক্ষণ পরই আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্য দফায় দফায় চলে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া, হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ সময় প্রধান অতিথি সাবেক মন্ত্রী পরিষদের সচিব কবির বিন আনোয়ার দুইপক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেন। এসময় তিনি জেলা সৈনিক লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম জনিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম রমজান জানান, জামায়াত বিএনপির লোকজন স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলেরর সঙ্গে ওঠাবসা করছে। আজ স্মাট কর্নার উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভা শুরুর আগে আওয়ামী লীগ পরিবারের নেতৃবৃন্দদেরকে চেয়ার থেকে তুলে দিয়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে। পরে তারা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে লাঠিসোটা নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। তারা পরিকল্পিতভাবে পার্টি অফিসে এসে হামলা চালিয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, ‘রমজান সাহেবের অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ, জেলা সৈনিক লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম জনিকে থাপ্পড় মারায় এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে এই সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেন। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা তার সঙ্গেই আছে।’

নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নাছিম আহমেদ জানান, অনুষ্ঠানে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সারাবাংলা/এনইউ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর