প্রজন্মের পর প্রজন্ম জাহানারা ইমামের স্নেহধারায় সিক্ত হবে
৩ মে ২০২৩ ২১:৩৬
ঢাকা: প্রজন্মের পর প্রজন্ম শহিদ জননী জাহানারা ইমামের স্নেহধারায় সিক্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।
বুধবার (৩ মে) বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় ‘জাহানারা ইমামের প্রবহমান লড়াই: যুদ্ধস্মৃতির উদ্ভাসন ও গণহত্যাকারীদের বিচার’ শীর্ষক একক বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক শহিদ জননী জাহানারা ইমামের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণ সভা আয়োজন করা হয়।
মফিদুল হক বলেন, ‘জাহানারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধে সাহসিক ভূমিকা পালন করেছেন। নিজ পুত্রকে এগিয়ে দিয়েছিলেন যুদ্ধের পথে মৃত্যুর ঝুঁকিময় অভিযাত্রায়। যুদ্ধে শহিদ পুত্রের হারিয়ে যাওয়ার দুর্ভার বেদনা বহন করে লিখেছেন যুদ্ধদিনের অভিজ্ঞতার অসাধারণ বয়ান ‘একাত্তরের দিনগুলি’, যে গ্রন্থ তাকে এমন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে, যা তুলনাহীন।’
তিনি বলেন, ‘জাহানারা ইমামের জীবন-কর্ম বহুভাবে বিচার করা যায়। তার শিক্ষকতা জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেক কথা বলার থাকে। আমাদের প্রজন্মের সৌভাগ্য, আমরা তাকে কাছে থেকে দেখেছি, তার স্নেহধারায় সিক্ত হয়েছি। জাহানারা ইমাম নেই, কিন্তু প্রজন্মের পর প্রজন্ম তার স্নেহধারায় সিক্ত হয়ে চলবে। তবে সেজন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন তাকে চেনা ও জানা। তার গ্রন্থ ও তার জীবন সেই দীক্ষা দিতে পারে সবাইকে।’
স্বাগত বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‘জাহানারা ইমাম বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট লেখক ও অনুবাদক। জাতির ঐতিহাসিক এক মুহূর্তে গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনকি ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক বাচিকশিল্পী রূপা চক্রবর্তী বলেন, ‘জাহানারা ইমাম সারা জীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গঠনের লড়াইয়ে নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন।’
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নাফরিজা শ্যামা বলেন, ‘শহিদ জননী জাহানারা ইমামের চিন্তা ও আদর্শের আভায় আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ হতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ‘শহিদ জননী জাহানারা ইমাম বাংলাদেশের ইতিহাসে তার ঐতিহাসিক যুদ্ধাপরাধবিরোধী আন্দোলনের জন্য যুগের পর যুগ স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম