‘ইঞ্জিনিয়ার ডিজাইন করে, জেলে যায় মালিক’
৪ মে ২০২৩ ১৬:৩১
ঢাকা: অগ্নিদুর্ঘটনার পর ভবনের ডিজাইন করা ইঞ্জিনিয়ারের কিছু না হলেও মালিক জেলে যায় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত ‘নগর সংলাপে’ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘একটি ভবনে অগ্নিদুর্ঘটনার জন্য ডিজাইনের নানা ফাঁকফোকর দায়ী হলেও পুরো দায় পড়ে বাড়ির মালিকের ওপর। আবার যার বাড়ি ভেঙে পড়ে, তাকেই দায়ী করা হয়। অন্যদিকে চিকিৎসার কোনো ভুলত্রুটি হলে দায় গড়ায় চিকিৎসকের ওপর। তখন কিন্তু কেউ রোগীকে দায়ী করে না। কিন্তু ভবনে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ডিজাইনারকে কেউ খোঁজে না। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে একজন প্রশিক্ষিত ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে ভবন নির্মাণ করা উচিত।’
‘বারবার অগ্নিদুর্ঘটনার কারণ: প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক নগর সংলাপের আয়োজক নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম। সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অমিতোষ পাল। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সোহেল মামুন। এতে ‘বারবার অগ্নিদুর্ঘটনার কারণ: প্রতিরোধে করণীয়’ বিষয়ে প্রেজেন্টস করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান।
সংলাপে ভবন নির্মাণের সময় নিম্নমানের পণ্য ব্যবহারের বিষয়টি উঠে আসে। মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মূল জায়গায় হাত দিতে হবে। প্রোডাক্ট যারা বানায় তাদের দিকে আঙুল না তুলে এসব প্রোডাক্ট যারা অ্যাপ্রুভাল দেয় তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। মনিটরিং যারা করে প্রশ্ন তাদের করতে হবে। বিএসটিআই ঠিকমত কাজ করছে কিনা, দেখেশুনে অ্যাপ্রুভাল দিল কিনা তা দেখতে হবে। এ সব নানা ফাঁকফোকর খুঁজে সেগুলো ঠিক করতে কাজ করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘একটি নগর পরিকল্পনার সময় কত মানুষের জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে তা মাথায় রাখতে হবে। প্রতিদিন পাঁচ হাজার মানুষ ঢাকা আসে। এসব মানুষ নানা কারণে ঢাকায় আসছেন। তাদের তো আমরা জোর করে বের করে দিতে পারি না। ঢাকার বাইরে তাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে তারা যেমন ঢাকায় আসতে নিরুৎসাহিত হত, তেমনি ঢাকাতেও সবার জন্য সমান সুবিধা থাকা উচিত না। সব এলাকায় একই ভর্তুকিতে গ্যাস-পানি-বিদ্যুত সরবরাহ করা অনুচিত। গুলশান, বনানী, বারিধারার মতো এলাকায় অবশ্যই সেবাপণ্যের দাম বাড়ানো উচিত।’
সারাবাংলা/আরএফ/একে