‘বঙ্গের কমিউনিস্ট আন্দোলনে অগ্রগামী চিন্তার আভাস মেলে’
৫ মে ২০২৩ ২২:২৩
ঢাকা: বঙ্গের কমিউনিস্ট আন্দোলনের উৎস সন্ধান করতে গেলে অগ্রগামী চিন্তার আভাস মেলে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ভানুদেব দত্ত। তিনি বলেন, মার্কস মতবাদ, যেটা মার্কস-এঙ্গেলসের কাছ থেকে আমরা পেয়েছি। ওই সময়েই কেন ভারতবর্ষ এই মতবাদ পায়নি? কেন দেরি লাগল? এর বড় কারণ হলো মার্কসবাদের জন্ম হয়েছিল একটি সামাজিক-অর্থনৈতিক পটভূমিতে। আর সে সময় ভারতের সামাজিক-অর্থনৈতিক পটভূমি ছিল একেবারে ভিন্ন।
শুক্রবার (৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় মূল আলোচকের বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
কার্ল মার্কসের ২০৫তম জন্মবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সিপিবি আয়োজিত দিনব্যাপী এই আয়োজনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় বেলা পৌনে ১১টায়। ‘বাংলায় মার্কস’ শীর্ষক প্রথম অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক এম এম আকাশের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
প্রথম অধিবেশন ভানুদেব দত্ত বলেন, ‘সে সময় ইউরোপে পুঁজিবাদ অনেক বিকশিত হয়েছিল। আর আমাদের এখানে পুঁজিবাদের কেবল সূচনা হয়েছে। সেজন্য ১৮৪৮ এর দিকে ইউরোপে মার্কসবাদ যেভাবে প্রসারিত হয়েছে, আমাদের এখানে তা হয়নি। আমরা সেটা পেয়েছি অনেক পরে।’
ভানুদেব দত্ত বলেন, ‘তবে একটি ইতিবাচক দিক উঠে এসেছিল সে সময়। ১৮৬২ সালে হাওড়া স্টেশনে রেলের কুলিরা কর্মঘণ্টা আট ঘণ্টার দাবিতে ধর্মঘট করল। একেবারে স্বতস্ফুর্তভাবে। এভাবে আরও কয়েকটি ঘটনা ঘটে।’
মার্কসবাদের শুরুর দিকে ভারতবর্ষের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে অর্থনৈতিক সচেতনতাটা ঠিক শ্রেণি সচেতনায় রূপান্তরিত হয়নি। সে বাস্তব ভিত্তিটিও তখন তৈরি হয়নি। ১৯১৭ সালের পর সেটি তৈরি হয়েছে। তবুও ১৯১৭ সালের আগেও প্রসঙ্গক্রমে মার্কস-এঙ্গেলসের কথা কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন।’
বেলা ৩টায় শুরু হয় দ্বিতীয় অধিবেশন। ‘মার্কস ভাবনা-আজ ও আগামীকাল’ শীর্ষক দ্বিতীয় অধিবেশনে আলোচনা করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শোভনলাল গুপ্ত এবং পশ্চিমবঙ্গের মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক শান্তনু। এই অধিবেশন চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম