বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে কাজ করবে যুক্তরাজ্য
৬ মে ২০২৩ ০৯:১১
ঢাকা: বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টর শক্তিশালী করতে যুক্তরাজ্যের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন দেশটির বিনিয়োগ মন্ত্রী লর্ড ডমিনিক জনসন।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শুক্রবার (৫ মে) স্থানীয় একটি হোটেলে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য ‘অ্যাভিয়েশন অংশীদারিত্ব’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি ‘জয়েন্ট কমিউনিক’ সই করে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য।
এ জয়েন্ট কমিউনিক সইয়ের পর এক টুইট বার্তায় যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ মন্ত্রী লর্ড ডমিনিক জনসন বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টর শক্তিশালীকরণে যুক্তরাজ্যের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “একটি কার্যকর ‘অ্যাভিয়েশন অংশীদারিত্বের’ মাধ্যমে বাংলাদেশের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি উভয় দেশেই নুতন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।”
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এয়ারবাস (Airbus) হতে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন বিমান কেনাসহ বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য একটি জয়েন্ট কমিউনিক সই করেছে দুই দেশ।
এতে সই করেন বাংলাদেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং যুক্তরাজ্যের পক্ষে সে দেশের বিনিয়োগ মন্ত্রী লর্ড ডমিনিক জনসন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সংক্রান্ত বাণিজ্য দূত রোশনারা আলী।
এই উদ্যেগের ফলে বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন ইন্ড্রস্ট্রির উন্নয়নের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যসহ এয়ার বাসের অন্যান্য ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গেও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশার কথা জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে আরও জানানো হয়, এয়ার বাসের বিমান কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের এক্সপোর্ট ফাইনান্স থেকে সহজ শর্তে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ সুবিধাও পেতে পারে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের সম্প্রসারণ ও এর বহুমাত্রিকতা আনতে এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন এবং যাত্রী পরিবহন ও কার্গো ব্যবসার ক্ষেত্রে বিমানের সক্ষমতাকে অনেক উচ্চ স্থানে নিয়ে যাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
এই ‘জয়েন্ট কমিউনিক’ সইয়ের পর সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘এই উদ্যোগের ফলে এয়ারবাস এবং বাংলাদেশ বিমানের মধ্যে দীর্ঘ ও কার্যকর সম্পর্ক স্থাপিত হতে পারে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে ইউকে, ফ্রান্স, জার্মানি তথা ইইউ’র বর্তমান সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।’
সারাবাংলা/এনআর/এমও