পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফারাক্কা-বাংলাদেশ নিয়ে সরব মমতা
৬ মে ২০২৩ ১০:০৭
পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর বেশিদিন বাকি নেই। নির্বাচন সামনে রেখে সংক্ষিপ্ত জেলা সফরে বের হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল শুক্রবার (৫ মে) মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জের এক জনসভায় গঙ্গা ভাঙনের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন তিনি।
এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার, ফারাক্কার পানি চুক্তি এবং বাংলাদেশ নিয়ে জনসভায় বক্তব্য দেন পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, ‘ভাঙন, একশো বছর ধরে চলছে। সবাই এসেছে, চলে গেছে। কিচ্ছু করেনি। অথচ গঙ্গার ভাঙন সাবজেক্টটা সেন্ট্রাল সাবজেক্ট। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে, আমাদের অধীনে নেই। ফারাক্কা, কার অধীনে? কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। তুমি আমাদের জল বাংলাদেশকে দিলে, আমার আপত্তি নেই। হাসিনা জি’কে আমি ভালোবাসি পার্সোনালি। ঠিক আছে। কিন্তু আমাকে যে তার পরিবর্তে ৭০০ কোটি টাকা দেবে বলেছিলে। কিন্তু আমার সরকারকে, আমার বাংলা গর্ভমেন্টকে আজ পর্যন্ত তুমি এক পয়সা দাওনি। বলতে বলতে মুখ ব্যথা হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হয়তো কেউ ভাবতে পারেন, আপনি কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গিয়ে কথা বলছেন না। গিয়েছি পঞ্চাশ বার গিয়েছি। গেছি মানে এই কথা বলতে গেছি, ১০০ দিনের কাজের টাকা দাও। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সাত আটবার তো গিয়েছি, টাকা চাইতে, গঙ্গার ভাঙন রোধ করার কথা বলেছি, বন্যা রোধ, ত্রাণের টাকা- কিছুই দেয় না। কিছুই দেয় না, শুধু নেয়। আধার কার্ড না করলে তুমি বিদেশি। আবার আইন পাঠিয়েছে। কয়েকদিন আগে হোম মিনিস্টারের চিঠি এসেছে।’
এই সফরের বিভিন্ন জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার ফারাক্কার পানি চুক্তি এবং বাংলাদেশ নিয়ে বক্তব্য রাখছেন।
বক্তব্যের মূল ভাষ্য, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যখন ফারাক্কা পানি চুক্তি হয়, তখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ৭০০ কোটি রূপি পাওয়ার কথা ছিল এলাকাবাসীর উন্নয়নের জন্য। কিন্তু সেই টাকার এক পয়সাও আজ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এই চুক্তি ২০ বছরের বেশি হয়ে গেছে। দেবগৌড়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখনই পানি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু গঙ্গার ভাঙন রোধে কেন্দ্রীয় সরকার এক টাকাও দেয়নি। অথচ রাজ্য সরকার এ বিষয়ে এক হাজার কোটি রূপি খরচ করেছে বলে অভিযোগ এই মুখ্যমন্ত্রীর।
এদিকে গতকাল (৫ মে) মমতার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ১২ বছর পূর্ণ হল। তা তিনি রাজ্যবাসীকে মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমি একজন সাধারণ কর্মী সমাজসেবা চালিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা আমাদের সাধ্যমত করব। আমাদের সাধ্যে কোন ত্রুটি থাকবে না।’
সারাবাংলা/এমও