তিতাসের ‘খামখেয়ালিপনা’য় প্রাণ গেল জবি শিক্ষার্থীর
৬ মে ২০২৩ ১০:৩১
জবি: কোনো রকমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে চলছিল তিতাস গ্যাসের লাইন মেরামতের কাজ। এসময় বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়েছিলেন মেহেদী হাসান শাওন (২৩) নামে এক শিক্ষার্থী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত মেহেদী হাসান শাওন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ধূপখোলা বাজারে গ্যাসের লাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত আমাদের ছাত্র মেহেদী হাসান শাওন আজ ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তার মৃত্যুতে শোকাহত।’
গেন্ডারিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় আগুনে পুড়ে যাওয়ার একটি মামলা হয়েছে।’
এদিকে শাওনের মৃত্যুতে তার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ
নিহত শাওনের বন্ধু মো. হাসান আলী জানান, শাওনের বাড়ি নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার রহিমানপুর গ্রামে। বাবার নাম আব্দুল লতিফ। বর্তমানে গেণ্ডারিয়া ডিস্ট্রিলারি রোডের একটি মেসে থাকতেন তারা। ঘটনার দিন কাঁচা বাজার করতে গিয়েছিলেন শাওন। বাজার করা শেষে বাসায় ফেরার সময় ধূপখোলা এলাকায় তিতাস গ্যাস লাইনের বিস্ফোরণে সে দগ্ধ হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১ মে) সকাল ৯টার দিকে ধূপখোলা বাজারের পাশে মেরামতের সময় তিতাস গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী ও শিশুসহ আটজন আহত হয়। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন বার্ন ইউনিটও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে দগ্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শাওনের শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ ১০
সারাবাংলা/এসআরআর/এমও