থামতে বলায় ট্রাফিক পুলিশকেই বাসে তুলে নেওয়ার চেষ্টা, স্টাফ আটক
৭ মে ২০২৩ ০৯:০৮
ঢাকা: রাজধানীর উত্তরা আবদুল্লাহপুর মোড়ে শুক্রবার (৬ মে) রাত ৯টার দিকে দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল হারুন অর রশিদ। এ সময় ময়মনসিংহ-গাজীপুর-ঢাকামুখী সড়কের উল্টো দিক থেকে অনন্যা ক্লাসিক নামে একটা বাস আসছিল। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা হারুন অর রশীদ তখন বাসটিকে আটকান।
এ সময় বাসের ভেতরে থাকা স্টাফসহ সংশ্লিষ্ট পরিবহনের কাউন্টার স্টাফ উল্টো ট্রাফিক কনস্টেবলকেই গাড়িয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা বাধা দেওয়ার পরে বাসটিকে আটকানো হয়। পরবর্তীতে বাসটি জব্দ করে এর স্টাফ ও কাউন্টার স্টাফকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল।
রাত ১১টার দিকে আবদুল্লাহপুর মোড়ের কাউন্টারে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। এ সময় দেখা যায় আটক কাউন্টার স্টাফ মো. জাহিদ হাসানকে। ৩৫ বছর বয়সী জাহিদ হাসান টঙ্গীর কাউন্টার মাস্টার বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাজীপুর থেকে রঙ সাইড দিয়ে অনন্যা ক্ল্যাসিক পরিবহনের বাসটি ঢাকায় ঢুকছিল। এ সময় ট্রাফিক পুলিশ এসে গাড়িটি আটকায়। জাহিদ হাসান নামের কাউন্টার মাস্টার এ সময় উলটো ট্রাফিক পুলিশের কলার ধরে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন সেখানে থাকা সবাই গিয়ে বাধা দিলে তাদের ওপরেও হামলা করার চেষ্টা করা হয়। একজনকে গাড়ির চাকার নিচে ফেলে দেওয়ার চেষ্টাও করে আটক হওয়া বাসের স্টাফরা।
তবে সবাই মিলে বাসসহ তার স্টাফ ও কাউন্টার স্টাফ জাহিদ হাসানকে আটক করে বলে জানায় স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী ট্রাফিক কনস্টেবল হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আব্দুল্লাহপুর মোড়ে ডিউটি করছিলাম। তখন গাজীপুর থেকে অনন্যা বাসটি রঙ সাইড দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল। এ সময় আমি গাড়িটিকে সিগন্যাল দেওয়া মাত্র দুই জন গাড়ি থেকে নেমে আসে। এরপর তাদের একজন জোর ধরে আমাকে গাড়িতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে।’
ডিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, ‘যদি কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশের গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যায় করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এসবি/এমও