মে’র প্রথম সপ্তাহেই ডেঙ্গু রোগী ১০০ ছাড়াল
৭ মে ২০২৩ ২০:৪৮
ঢাকা: দেশে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গু রোগী ছিল ৫৬৬ জন। পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারি (১৬৬) ও মার্চ (১১১) রোগী কমলেও এপ্রিলে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। ডেঙ্গু ছড়ানোর মৌসুম বলে পরিচিত না হলেও এপ্রিলে দেশে ১৪৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে মারা গেছেন দুই জন। তবে চলতি মে মাসের প্রথম সাতদিনেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শতক ছাড়িয়ে হয়েছে ১০৩।
এমন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। রোববার (৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জোন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৬ মে) সকাল ৮টা থেকে রোববার (৭ মে) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে নয় জন। এর মধ্যে ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আটজন। আর একজন রোগী ভর্তি হয়েছেন ঢাকার বাইরে।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে ৭৩ জন। এর মধ্যে ঢাকার ৫৩ হাসপাতালে ৬৫ জন ও ঢাকার বাইরে আট জন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জানুয়ারিতে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৬৬ জন। সে মাসে মারা যায় ছয় জন। ফেব্রুয়ারিতে সংখ্যা কমে ১৬৬ জনে দাঁড়ায়। সে মাসে মারা যায় তিন জন। মার্চে ১১১ জন আক্রান্ত হলেও কোনো মৃত্যু হয়নি। আর এপ্রিলে ১৪৩ জন আক্রান্ত হয়ে মারা যায় দুই জন। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে দেশে ১১ জন মারা গেছেন বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এদিকে, ডেঙ্গু সংক্রমণ বিষয়ে সতর্ক করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘বাংলাদেশে কিছু দিন ধরে ফের ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রভাব বাড়ছে। এই সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে হলে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।’
রোববার (৭ মে) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘সবাইকে নজর রাখতে হবে যে, বাসাবাড়ির ছাদ ও আঙিনায় যেন পানি জমে না থাকে। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশার কামড় থেকে মুক্ত থাকতে হবে। আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।’
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম