রবীন্দ্র পুরস্কার পেলেন শীলা মোমেন
৮ মে ২০২৩ ১৬:৩৬
ঢাকা: রবীন্দ্র-গবেষণায় সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশিষ্ট শিল্পী শীলা মোমেন-কে বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত রবীন্দ্র পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (৮ মে) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে বাংলা একাডেমি।
পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকের হাতে পুষ্পস্তবক, সনদ, সম্মাননা স্মারক ও পুরস্কারের অর্থমূল্য দুই লাখ টাকার চেক তুলে দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকরম হোসেন।
রবীন্দ্র-পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশ করে শীলা মোমেন বলেন, ‘বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার প্রাপ্তি এক জীবনের অনন্য অর্জন। রবীন্দ্রনাথকে ধারণ করে তাঁকে অন্বেষণ করে চলেছি; এ অন্বেষণের যেন কোনো শেষ নেই, আছে আনন্দধারায় অনন্ত অবগাহন।’
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক কাজী রুমানা আহমেদ সোমা।
শীলা মোমেন-এর পরিচিতি
প্রথিতযশা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী শীলা মোমেন ১৯৫৩ সলের ১২ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
শিল্পী শীলা মোমেন শৈশব থেকেই সংগীতচর্চা করেন। সংগীতগুণী ওয়াহিদুল হক, সংগীতগুরু শৈলজারঞ্জন মজুমদার, উচাঙ্গসংগীতচর্চায় পণ্ডিত বিজয় কিচলুসহ শান্তিনিকেতন-সংশ্লিষ্ট অনেকের কাছে তিনি রবীন্দ্রসংগীত তালিম নিয়েছেন।
শিল্পী শীলা মোমেন ১৯৭৬ সাল থেকে শিশু প্রতিষ্ঠান ফুলকির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে শিশুশিক্ষা ও শিশুর মানস বিকাশে অবদান রেখেছেন। পঞ্চাশ বছরের রবীন্দ্রসংগীত-সাধনায় শীলা মোমেন একজন শিক্ষক হিসেবেও সার্থক। ফুলকির সাংস্কৃতিক স্কুল ‘সোনার তরী’ এবং নিজ সংগঠন ও শুদ্ধ সংগীতচর্চার প্রতিষ্ঠান ‘রক্তকরবী’র প্রশিক্ষক হিসেবে নবপ্রজন্মের শিক্ষার্থীদের শুদ্ধভাবে রবীন্দ্রসংগীত ও বাংলা গানের প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছেন।
তিনি রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে ৫টি গবেষণামূলক অ্যালবামের কাজ সম্পন্ন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির ও মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং ক্যাম্প এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে তিনি গান পরিবেশন করেন।
সারাবাংলা/এজেড/একে