Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্ত্রীর কাছ থেকে কোনো ব্যক্তিগত সুবিধা নেননি ওয়াজেদ মিয়া

সারাবাংলা ডেস্ক
৮ মে ২০২৩ ১৭:৩৮

ঢাকা: স্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও কখনো কোনো ব্যক্তিগত সুবিধা নেননি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া। সোমবার (৮ মে) বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক এক যুক্ত-বিবৃতিতে এ কথা বলেন। আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ মে) ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে গণমাধ্যমে বিবৃতিটি পাঠানো হয়।

বিজ্ঞাপন

যুক্ত-বিবৃতিতে তারা বলেন, বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী এই বিজ্ঞানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। পাশাপাশি ছিলেন রাজনীতি সচেতন। তিনি ছাত্রলীগের হয়ে ১৯৬১-৬২ শিক্ষাবর্ষে ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সহ-সভাপতি ছিলেন। ১৯৬২ সালের কুখ্যাত শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি গ্রেফতারও হন।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে ও বিদেশের জার্নালগুলোতে তার প্রকাশিত অনেক গবেষণাপত্র বিজ্ঞানীমহলে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। সারাজীবন তিনি বিজ্ঞানের গবেষণায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের গবেষকদের জন্য পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণাসূত্রে লিখিত তার কয়েকটি বিখ্যাত বই রয়েছে। বাংলাদেশ একদিন পরমাণু শক্তিকে জনগণের কল্যাণে সুচারুভাবে ব্যবহার করবে- এটি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি স্বপ্ন দেখেছেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের বিষয়ে তিনি অত্যন্ত উৎসাহী ও আশাবাদী ছিলেন।

বিবৃতিতে জানানো হয়, ১৯৬৭ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেলে রাজবন্দী থাকা অবস্থায় তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এম এ ওয়াজেদ মিয়া। অত্যন্ত রাজনীতি সচেতন হওয়ার পরও এই বিজ্ঞানী তার স্ত্রীর রাজনীতি ও সরকার পরিচালনায় কখনো প্রভাব বিস্তার করেননি। স্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও তিনি কখনো কোনো তদবির করেননি বা ব্যক্তিগত কোনো সুবিধা নেননি। এমনকি পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বকাল শেষ হলে অনেকের অনুরোধের পরও তিনি মেয়াদকাল বাড়ানোর চেষ্টা করেননি। প্রধানমন্ত্রী নিজেও স্বামীকে এমন সুবিধা দেওয়ার কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ চেষ্টা করেননি। বাংলাদেশের ইতিহাসে যা বিরল।

গবেষণায় নিবেদিত-প্রাণ মহান ও নীতিনিষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার প্রতি বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে পরম শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয় বিবৃতিতে।

সারাবাংলা/পিটিএম

অনৈতিক সুবিধা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া নেননি মৃত্যুবার্ষিকী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর