গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত ১২
৯ মে ২০২৩ ১২:২০
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯ জনই বেসামরিক। বাকি তিনজন ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ কমান্ডার। ৪০টি যুদ্ধবিমান দিয়ে চালানো ওই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন।
মঙ্গলবার (৯ মে) সকালে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উত্তর গাজা উপত্যকায় অপারেশন শিল্ড নামক একটি হামলা চালানো হয়েছে। মূলত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য আল কুদস ব্রিগেডের তিন জন শীর্ষ কমান্ডারকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। এই তিনজন চলতি সপ্তাহে ইসরাইলে মিসাইল হামলার জন্য দায়ী।’
জেরুজালেম পোস্টের এক খবরে বলা হয়, ইসরাইলি হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চলে আল কুদুস ব্রিগেডের কমান্ডার খলিল বাহিতনি, মুখপাত্র তারেক ইজ্জালদিন ও সামরিক শাখার মহাসচিব জিহাদ ঘানেম নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মতে, বাহতিনি ইসলামিক জিহাদের সবচেয়ে জ্যোষ্ঠ অপারেশনাল কমান্ডার। তিনি ইসরাইলে আরও রকেট হামলার পরিকল্পনা করছিলেন।
ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনের এক মুখপাত্র তারেক সেলমি ইসরাইলি হামলার ব্যাপারে বলেন, ‘এই অপরাধের জন্য বিনা শাস্তিতে পার পাবে না ইসরাইল।’ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘তারেক সেলমি আরও বলেছেন, ‘বোমার মোকাবিলা হবে বোমার মাধ্যমে এবং হামলার মোকাবিলা করা হবে আক্রমণের মাধ্যমে।’
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হেফাজতে অনশনকারী খাদের আনান নামের এক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়। খাদের আনান ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ প্রতিরোধ গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার মৃত্যুতে ফুঁসে উঠে ফিলিস্তিন। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলে একাধিক রকেট ছুঁড়া হয়। জবাবে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালায়। কয়েক ঘণ্টার সংঘর্ষের পর উভয় পক্ষ অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়।
সোমবার দিবাগত রাতে ইসরাইলে রকেট হামলার জন্য দায়ীদের লক্ষ্য করে ফের এই হামলা চালায় ইসরাইল।
সারাবাংলা/আইই