Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বৈষম্য কমাতে কর জিডিপির হার বাড়তে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৯ মে ২০২৩ ২২:৪৮

ঢাকা: বৈষম্য কমাতে কর জিডিপির হার বাড়াতে হবে। এছাড়া খেলাপি ঋণ ও টাকা পাচার বন্ধ করতে হবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন।

মঙ্গলবার (৯ মে) ‘দেশ রূপান্তরের কারিগর শেখ হাসিনা’ বইয়ের গ্রন্থ পরিচিতি ও প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম সম্পাদিত বইটির প্রকাশনা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড.বিনায়ক সেন, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর শিকদার, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. নজরুল ইসলাম, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ প্রমুখ।

বইটিতে লিখেছেন ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক আব্দুল বায়েস, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যামিরিটাস অধ্যাপক মঞ্জুরুল আহেমেদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী।

প্রকাশনা উৎসবে ড. ফরাস উদ্দিন বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে অনেক ভালো করছে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যক্তি পর্যায়ে যদি আমলে না নেওয়া হয় তাহলে এই অর্জন কাজে আসবে না। বৈষম্য ব্যাপক হারে বাড়ছে। এখানে সামষ্টিক অগ্রগতির পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায় উন্নয়নের কথা ভাবতে হবে। এছাড়া বছরে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কারও কোনো কথা নেই। খেলাপি ঋণ বাড়ছে। ঋণ খেলাপিদের আরও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এটা জাতির পিতার সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ নীতির পরিপন্থী।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা একে অন্যের পরিপূরক। বঙ্গবন্ধু যেসব কাজ শুরু করেছিলেন শেখ হাসিনা সেসব বাস্তবায়ন করছেন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী ১০০ কোটি টাকা দিয়ে কৃষি ভর্তুকি শুরু করেছিলেন। এরপর আইএমএফসহ সুশীল সমাজের নানা চাপেও সেখান থেকে সরে আসেননি। আঞ্চলিক মোড়লদের ফাটফাটিতেও ভারসাম্য রক্ষার কঠিন কাজটি করছেন শেখ হাসিনা। তবে তিনি সহকর্মী নিয়োগে তার পিতার মতোই অনেক ক্ষেত্রে শুদ্ধ সিদ্ধান্ত নেন না। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবার কিছু সঠিক সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। যেমন দীপু মনিকে ওইসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিয়েছেন। ফলে, সমুদ্র সীমা জয়ের ক্ষেত্রে তার ব্যাপক ভূমিকা ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্য কমাতে কর জিডিপির অনুপাত বাড়াতে হবে। এটি এখন নেপালের প্রায় অর্ধেক। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ কার্যকর করতে হবে। বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ দিতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্পে সময় বেশি লাগলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো জরিমানার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। গরিব মানুষের টাকা দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন ধীরে করে অন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা দরকার। সমবায় পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে হবে। সেটি না হলে মধ্যসত্ত্বভোগীরা অনেক ক্ষেত্রে পিঁপড়ার মতো খেয়ে ফেলবে। বিদেশি ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।’

ড. মসিউর রহমান বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে বিদেশের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, চীন অনেক উন্নতি করেছে। কিন্তু ভোটের অধিকার না থাকলে সেগুলো পাথরের মতো শুষ্ক মনে হয়। কাজেই সামাজিক অগ্রগতির সঙ্গে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।’

বইটির সম্পাদক ড. শামসুল আলম বলেন, ‘বইটি কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে লেখা নয়। এখানে যারা লিখেছেন তার সবাই তথ্য-উপাত্ত দিয়ে বাস্তবতার প্রেক্ষাপটেই লিখেছেন। এখানে কাউকে খুশি করার জন্য কিংবা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা স্থান দেওয়া হয়নি। নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।’

আব্দুল বায়েস বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবতা। এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। সেটিও বাস্তব হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের মতোই স্মার্ট বাংলাদেশ সমাজকে বদলে দেবে।’

সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম

কর জিডিপি টপ নিউজ বৈষম্য


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

‘আমাদের সেনাবাহিনী যেন তৈরি থাকে’
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:২৯

আগস্টে কমেছে মূল্যস্ফীতি
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৭

সম্পর্কিত খবর