Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তুচ্ছ ঘটনায় জোড়া খুন: ‘বড় ভাই’সহ গ্রেফতার ৮

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ মে ২০২৩ ২৩:২৬

জোড়াখুনের ঘটনায় এক স্বজনের আহাজারি

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীতে জোড়া খুনের ঘটনায় কথিত বড় ভাইসহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে একজন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জবানবন্দি দেওয়া আসামির বান্ধবীকে নিয়ে কটূক্তির পর মারামারির জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

সোমবার (৮ মে) রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার সাগরিকা বিটাক মোড়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এরপর পাহাড়তলী থানা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশ (পশ্চিম) যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেফতার করে, যাদের মধ্যে একজন কিশোরও আছে।

গ্রেফতার আটজন হলেন কথিত বড় ভাই ইলিয়াছ মিঠু (৪৫), নওমুসলিম আব্দুর রহিম (২৯), বিপ্লব মল্লিক (২৮), রবিউল ইসলাম (২০), রায়হান উদ্দিন (১৯), মো. শামীম (২৮), সাগর দাশ (২০) এবং ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর।

পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর ইলিয়াছ পালিয়ে চকরিয়া চলে যায়। ডিবি তার অবস্থান শনাক্ত করে রাতে গ্রেফতার করে। বাকি সাতজনকে আমরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করি।’

সোমবার রাতে ছুরিকাঘাতে নিহত দুজন হলেন মো. মাসুম (৩০) ও মো. সবুজ (২০)। এদের মধ্যে মাসুম ব্যাটারি শ্রমিক এবং সবুজ অটোরিকশা চালক। হত্যার ঘটনায় মামুনের ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে পাহাড়তলী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে গ্রেফতার রবিউল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি সাত আসামির মধ্যে কিশোর ছাড়া ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদন শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ রেখে আদালত সব আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জবানবন্দি ও আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রবিউল ইসলাম তার বান্ধবীকে নিয়ে সোমবার বিকেলে সাগরিকা স্টেডিয়াম এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিল। পূর্বপরিচিত যুবক সিরাজুল ইসলাম শিহাবের সঙ্গে তাদের সেখানে দেখা হয়। শিহাব রবিউলকে বলেন- এই মেয়েকে তোমার সঙ্গে মানায় না, তুমি মেয়েটার যোগ্য নও। এতে দু’জনের মধ্যে সেখানে কথা কাটাকাটি হয়। বান্ধবীকে বিদায় দেওয়ার পর সন্ধ্যার দিকে রবিউল তার বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে বিটাক মোড়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘সেখানে শিহাবের বন্ধুবান্ধবরাও ছিল। বিকেলের কথা কাটাকাটির জের ধরে সেখানে হাতাহাতি হয়। শিহাব ফোন করে তাদের কথিত বড় ভাই ইলিয়াছকে সেখানে ডেকে আনে। ইলিয়াছের মধ্যস্থতায় মীমাংসার কথাবার্তার একপর্যায়ে কয়েকজন গিয়ে মাসুম ও সজীবকে ছুরিকাঘাত করে। এরা শিহাবের বন্ধু। আহত হয় শিহাব এবং তার ভাইও। ছুরিকাঘাতের পর সবাই ঘটনাস্থল ছেড়ে যায়।’

গ্রেফতার ইলিয়াছ মিছু এলাকায় শ্রমিক লীগের নেতা হিসেবে পরিচিত। সাগরিকায় ‘গ্যাং কালচারে’ জড়িত উঠতি বয়সের তরুণ-কিশেররা তাকে ‘বড় ভাই’ হিসেবে অনুসরণ করে বলে জানা গেছে।

সারাবাংলা/আরডি/একে

জোড়া খুন টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর