Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কথা-কবিতায় ওয়াজেদ মিয়াকে স্মরণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৯ মে ২০২৩ ২৩:২৮

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী কথা-কবিতায় স্মরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ মে) রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে স্মরণ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগার।

কথা-কবিতায় স্মরণ এবং কোরআন খতম ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ‘ড. ওয়াজেদ মিয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জীবনসঙ্গিনী হওয়ার পরও কখনো তার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেননি। তিনি তাকে রাজনীতিতে সাহস ও শক্তি জুগিয়েছিলেন।’

বিজ্ঞাপন

সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে নানক আরও বলেন, ‘দেশের ভেতরে একটি অশুভ শক্তি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করে সরকার হটাতে চায়। সেই অশুভ শক্তি সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে। তারা সরকার ফেলে দেওয়ার চিন্তা করে। তারা দেশের মধ্যে থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করেছে।’

তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবকে পরিষ্কার বলে দিতে চাই, ষড়যন্ত্র করে আর আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগকে টলানো যাবে না। বিদেশি প্রভুদের পা ধরে, আপত্তি করে, নালিশ করে, অভিযোগ করে, কোনো লাভ হবে না। সোজা পথে আসতে হবে। অগণতান্ত্রিক পথ পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে আসতে হবে। নির্বাচনই হলো একমাত্র সরকার পরিবর্তনের হাতিয়ার।’

মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করছেন আপনারা। বিচারপতি সাহাবুদ্দিনকে দিয়ে যে তত্ত্বাবধায়ক কিংবা দল নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, তিনি যে বিশ্বাসঘাতকতা জনগণের সঙ্গে করেছিলেন, সেই বিশ্বাসঘাতকতার ফলেই জনগণ বুঝতে পেরেছিল আসলে দল নিরপেক্ষ বলতে কোনো কিছু নেই। কাজেই জনগণের নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা থাকতেই নির্বাচন হবে। তবে সেই নির্বাচন হবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এটি আমরা বলতে পারি।’

বিজ্ঞাপন

১/১১ এর প্রসঙ্গ স্মরণ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘১/১১ সময় শেখ হাসিনা যখন দেশের বাইরে গেলেন চিকিৎসার জন্য, তারপর তাকে আর দেশে ফিরতে দিতে চায়নি। তাকে বহনকারী বিমান ঢাকা বিমানবন্দরে নামতে দেওয়া হবে না। এটি জানিয়ে দেওয়ার পরও শেখ হাসিনা সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন।’

বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন নুরুন নবী ভোলা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, ইসলামিয়া আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগার পরিচালনা কমিটির সদস্য ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ, পাঠাগারের উপদেষ্টা প্রকৌশলী সাঈদ রেজা শান্ত। এ সময় কবিতায় ওয়াজেদ মিয়াকে স্মরণ করেন আবৃত্তিশিল্পী শাহাদাৎ হোসেন নিপু ও কবি শিশির বিন্দু।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর