২ প্রতিমন্ত্রীকে আচরণবিধি মেনে চলতে রিটানিং কর্মকর্তার চিঠি
১০ মে ২০২৩ ১৫:৫৭
ঢাকা: খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে চলার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেছেন খুলনা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বুধবার (১০ মে) উল্লেখিত দুই প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব বরাবর পাঠানো ভিন্ন ভিন্ন চিঠিতে নির্বাচনী আচরণবিধি পরিপালন করে চিঠি পাটিয়েছেন খুলন সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন।
চিঠিতে, নির্বাচনপূর্ব সময়ে সরকারী সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসাবে তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানকে খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী এলাকায় সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ যথাযথ প্রতিপালন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হযেছে, আগামী ১২ জুন ২০২৩ তারিখে খুলনা সিটি করপোরেশন সাধারণ নির্বাচন-২০২৩ এ ইভিএমে‘র মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আইনানুগ ভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ যথাযথ ভাবে প্রতিপালন প্রয়োজন। এতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হইপ, উপমন্ত্রী বা তাহাদের সমপদমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র কোনো প্রার্থী বা তাহার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।
এছাড়া বিধি-৬ এ উল্লেখ আছে সার্কিট হাউজ, ইত্যাদি ব্যবহারে বাধা-নিষেধ সংক্রান্ত বিষয়ে বলা আছে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনপূর্ব সময়ে সরকারি সার্কিট হাউজ, ডাক বাংলো বা রেস্ট হাউজে অবস্থান করিতে পারিবেন না; এবং তার পক্ষে বা অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিপক্ষে প্রচারণার স্থান হিসেবে সরকারি সার্কিট হাউজ, ডাক বাংলো, রেস্ট হাউজ, কোনো সরকারি কার্যালয় অথবা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষকে ব্যবহার করতে পারবেন না।
সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারিবেন না; তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হলে তিনি কেবল তার ভোট প্রদানের জন্য ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন।
নির্বাচনপূর্ব সময়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচারযন্ত্র, সরকারি যানবাহন, অন্য কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে ব্যবহার করতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল সিটি এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ মঙ্গলবার (১৬ মে)। মনোনয়নপত্র যাচাই বাচাই বৃহস্পতিবার (১৮ মে)। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের হবে ১৯ থেকে ২১ মে। এ ছাড়াও আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ মে, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে, প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৬ মে এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ জুন।
সারাবাংলা/জিএস/ইআ