রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আঘাত হানতে পারে মোখা, রয়েছে সার্বিক প্রস্তুতি
১১ মে ২০২৩ ২২:১৫
কক্সবাজার: জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ৩৩টি রোহিঙ্গা শিবিরে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বসবাস। এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে পাহাড়ের উপরে ও পাদদেশে যারা ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে প্রশাসন।
এদিকে, রোহিঙ্গা শিবিরের কাছাকাছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত) সামছুদ্দৌজা নয়ন।
তিনি জানান, সম্ভাব্য দুর্যোগে সমন্বিতভাবে কাজ করার প্রস্তুতি নিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিসহ রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির স্বেচ্ছাসেবক, রেডক্রিসেন্টসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরা সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, পুলিশ সেখানে সমন্বিতভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলোকেও।
এছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরি মেডিকেল টিম ও মোবাইল মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে তাৎক্ষণিক কাজ করবে ‘সাইট ম্যানেজমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ’। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে জরুরিভাবে সরবরাহের জন্য ত্রিপল, বাঁশ, সুতলি দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ভূমিধস কিংবা বন্যার দেখা দিলে সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ারও প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/পিটিএম