বাসমতির জন্যও চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে ‘বিনা ধান-২৫’
১১ মে ২০২৩ ২৩:০২
মাগুরা থেকে ফিরে: দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রথমবার বিনা ধান-২৫ চাষ হয়েছে। আর প্রথমবার চাষেই ব্যাপক সম্ভাবনার জানান দিচ্ছে নতুন এই জাতটি। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) কর্তৃক উদ্ভাবিত বোরো মৌসুমের এই জাতটি ইতোমধ্যে প্রশংসা কুড়াচ্ছে। কোথাও কোথাও হেক্টর প্রতি ধানটির ফলন পাওয়া যাচ্ছে ৮ থেকে ৯ টন পর্যন্ত। চাল চিকন হওয়ায় ধানের দামও বেশি। অন্য জাতের চেয়ে এই ধানের মণ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেশিতে বিক্রি করতে পারছেন কৃষকরা। জাতটি প্রচলিত ব্রি ধান-২৮ ও ২৯ কে টেক্কা দিতে যাচ্ছে। এটি বাসমতি ধানের জন্যও চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। সম্প্রতি মাগুরা জেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে কৃষক ও বিনার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
মাগুরার মাঠে মাঠে এখন সবুজ দোল খাচ্ছে। মাঠের পর মাঠে দেখা গেছে সোনালী আঁশখ্যাত পাটের দিগন্ত বিস্তৃত আবাদি জমি। যেদিকে চোখ যায় কেবল সবুজ আর সবুজ। কিছু কিছু মাঠে চলছে বোরো ধান কাটা। কোথাও ইতোমধ্যে কেটে ফেলা হয়েছে। কোথাও ঘোড়ার গাড়িতে করে মাঠের ধান নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ঘরে। এমন পরিবেশেরই একটি গ্রাম মাগুরা সদর উপজেলার মঘী। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো এই গ্রামে এবারই প্রথমবারে বিনা ধান-২৫ আবাদ করা হয়েছে। কৃষক আবুল কালাম আজাদ তার ৫০ শতাংশ জমিতে এই ধান আবাদ করেছেন।
নিজের ধান ক্ষেতের পাশে দাঁড়িয়ে ষাটোর্ধ্ব আবুল কালাম আজাদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘সাধারণত যেকোনো জাতের ধান মোটা। কিন্তু নতুন এই জাতটি খুবই চিকন। ধানটি চিকন হওয়ায় এর দামও বেশি। অন্য জাতের চেয়ে এ জাতের ধান মণে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেশিতে বিক্রি করা যাচ্ছে। ১৩০০ থেকে ১৩৫০ টাকা মণে কাঁচা ধান বিক্রি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার ৫০ শতক জমিতে ৩৭ মণ ধান হয়েছে। এ জাতের ধানের উৎপাদন খুবই লাভজনক। অন্য ধানের চেয়ে সার ও কীটনাশকও কম লাগে। মোটা ধানে সার ও কীটনাশক বেশি লাগে। এতে এই ধান উৎপাদনে খরচও কম হয়।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ধান আবাদে বিনা থেকে বীজ ও অল্প কিছু সার ও কীটনাশক দেওয়া হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেছেন।’
কৃষক আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘সরিষা আবাদ করে ধান রোপন করেছি। ফলে ধানটি রোপন করতে ১০ থেকে ১২ দিন লেট হয়েছে। যদি আর একটু আগে রোপন করা যেত তাহলে ফলন হয়তো আরও বেশি পাওয়া যেত। আমি প্রথম বীজ পেয়েছি, নতুন বীজ পেয়েছি! খুবই অল্প সময়ে ধান পেকেছে। নতুন এই ধানের আবাদ করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।’
তিনি জানান, ৫০ শতাংশ জমি আবাদে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। বিপরীতে এই জমিতে উৎপাদিত ৩৭ মণ ধানে প্রায় ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। সে হিসাবে ধান আবাদে তার বেশ লাভ হয়েছে।
একই গ্রামের কৃষক সোহাগ সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রথমবার বিনা ধান ২৫ আবাদ করেছি। ফলন ভালো পেয়েছি। অনেকেই এখন এই ধানটি সম্পর্কে জানতে চায়। এলাকার সবাই এই ধান নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছে।’ মঘী গ্রামের আরেক কৃষক রশিদ মিয়া বলেন, ‘আমার চাচা এবার নতুন জাত আবাদ করেছে। কিছু জমির ধান কেটেছে। আবাদ দেখে মন ভরে গেছে। সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামীতে আমিও এ জাতের ধান আবাদ করব।’
তবে সব কৃষকের ভাষা এক নয়। কেউ কেউ জাতটি নিয়ে শঙ্কার কথাও জানিয়েছেন। তেমনই একজন কৃষক আলম মোল্লা। তিনি তার ৫০ শতাংশ জমিতে বিনা ধান-২৫ আবাদ করেছেন। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ধান আবাদ করতে কোন সমস্যা হয়নি। তবে মাজরা পোকা কিছু কিছু ধান নষ্ট করেছে। আবাদে খরচ হয়েছে অন্যান্য ধানের মতোই। গাছ বড় হওয়ায় সার ও ওষুধ বেশি লেগেছে।’ ক্ষেতে নষ্ট হয়ে যাওয়া বেশকিছু ধানের শীষ দেখাচ্ছিলেন এই প্রতিবেদককে।
গ্রামটিতে নতুন এই জাতের ধানে চিটা বা মাজরা পোকার আক্রমণের বিষয়টি অস্বীকার করছেন না বিজ্ঞানীরা। তবে তাদের ভাষ্য চিটা বা মাজরা পোকা ধানের উৎপাদনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। আর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মাগুরার ওই গ্রামটিতে বিনা ধান-২৫ আবাদে হয়তো সঠিক পর্যবেক্ষণ করা হয়নি। তাই কিছু ধানে চিটা বা মাজরা পোকা দেখা গেছে।’
মাগুরার ওই মাঠে সারাবাংলার সঙ্গে আলাপকালে বিনা মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, ‘ব্রি ধান-২৮ ও ২৯ এ উৎপাদন হেক্টর প্রতি সাত বা সাড়ে ৭ টন হয়। কিন্তু আমাদের এই ধানটি ৮ টন, সাড়ে ৮ টন এমনকি প্রায় পৌনে ৯ টন বা ৯ টন পর্যন্তও হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি যেসব মাঠ ঘুরেছি, সেখানে কোথাও এর উৎপাদন ৮ টনের নিচে পাইনি। বিনা ধান-২৫ এর মেয়াদকালও কিন্তু কম। ব্রি ধান ২৯ এর ডিউরেশন অনেক বেশি, এটি কিন্তু তারই বাচ্চা। ২৯ কে রেডিয়েশন দিয়েই কিন্তু আমরা এটি তৈরি করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বোরোতে প্রায় ৭০ শতাংশ জমিতে ব্রি ধান-২৮ ও ২৯ আবাদ হয়। সেই জায়গায় আমাদের এই বিনা ধান-২৫ কে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। ৭০ শতাংশ জায়গায় আমরা যদি সঠিকভাবে বীজ দিতে পারি, প্রণোদনা দিতে পারি, সরকারের যদি সর্বাত্মক সহায়তা থাকে এবং যদি কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটে আমার ধারণা এটি ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে বোরো আবাদের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ জায়গা দখল করে নিতে পারবে।’
বিনা মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘জাতটি সব অঞ্চলে আবাদ করা যাবে। লবণাক্ত জায়গা ছাড়া সব জমিতে করা যাবে। এটিতে পানি কম লাগে। ইউরিয়া সারও কম লাগে। এর পুষ্টি উপাদানও বেশি। মিলাররা এটি কখনও কাটতে যাবে না। কৃষকদের এটি কখনোই প্রতারিত করবে না। কারণ, এই চালটি তো চিকন। অন্যান্য চাল পলিশ করে চিকন করা হয়, ফলে পুষ্টিগুণ থাকে না। এক্ষেত্রে তা হবে না।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটি ২৮ ও ২৯ এর পরিবর্তক তো হবেই, এটি বাসমতিরও বিকল্প হিসাবে আবির্ভূত হবে। বাসমতির একটি বিকল্প হতে পারে এটি। ২৮ ও ২৯ থেকে এর ফলন বেশি ও ডিউরেশন (জীবনকাল) কম। এ জায়গায় এটি ২৮ ও ২৯ কে টেক্কা দিতে পারবে। এখন পর্যন্ত দেশে উদ্ভাবিত ধানের সব জাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্ভবনাময় এটি।’
মাজরা পোকা বা চিটার বিষয়ে জানতে চাইলে বিনা মহাপরিচালক বলেন, ‘চিটার কোনো সমস্যা নেই এটিতে। এখানে যেটি হয়েছে সেটি মাজরা পোকা। মাজরা পোকা তো বসবেই। এখানকার জমিগুলোতে একটু হয়েছে। কারণ, এটি নিচু জমি, আবার তাপমাত্রাও বেশি ছিল। এখানে ধানটির আবাদ একটু দেরিতে হয়েছে। এটি সরিষার মাঠ ছিল। সরিষা কেটে আবাদ করায় এখানে একটু বিলম্ব হয়েছে। তাই ফসলটির কিছু ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতি হলেও মোট উৎপাদনে কিন্তু প্রভাব ফেলতে পারেনি।’
জাতটি উদ্ভাবনের সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সাকিনা খানম সারাবাংলাকে বলেন, ‘নারী হিসাবে জাতটি উদ্ভাবনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে আমি খুবই গর্বিত। এটি প্রিমিয়াম কোয়ালিটির জাত। এটি সবচেয়ে লম্বা ও সবচেয়ে সরু ধান। মিলাররা মোটা চাল কেটে মিনিকেট হিসেবে বিক্রি করে। যখন মিলে কোনো চাল কাটে তখন সেটির পুষ্টিগুণ পড়ে যায়। বিনা ধান-২৫ কাটার কোন প্রয়োজন নেই। এটি কাটতেই পারবে না। কারণ নিজেই চালটি অনেক সরু। এটি কাটলে আর কিছুই থাকবে না। ফলে চালে যেসব পুষ্টিগুণ থাকা প্রয়োজন তার সবটাই এ ক্ষেত্রে অক্ষুণ্ণ থাকবে। চিকন ও লম্বা হওয়ার কারণে আমরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে, দেশের সরু চালের আমদানি নির্ভরতা কমাতে পারব।’
ধানে চিটা হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এবার তাপমাত্র অনেক বেশি ছিল। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে কোথাও কোথাও এবার একটু চিটার পরিমাণ দেখা গেছে। কিন্তু এটি ফলনের সঙ্গে আপস করেনি। ফলন কিন্তু আপনার ঠিকই দিয়ে গেছে। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে এবং এই চিটার পরিমাণটা যদি না থাকে, আমি মনে করি এটি আরও বেশি ফলন দেবে।’
অন্য জাতের চেয়ে এর ফলন বেশি পাওয়া গেছে জানিয়ে এই বিজ্ঞানী বলেন, ‘বিঘাতে ২২ থেকে ২৪ মণ ধান উৎপাদন হলে সেটিকে আমরা ভালো ফলন বলে থাকি। কিন্তু অঞ্চলভেদে বিনা ধান-২৫ এর উৎপাদন হয়েছে প্রতি বিঘায় ২৪ থেকে ৩০ মণ। মকসুদপুরে একজন কৃষকের জমিতে প্রতি বিঘায় ৩৩ মণ ফলন পাওয়া গেছে, পোগালগঞ্জে পাওয়া গেছে বিঘাতে ৩২ মণ, সাতক্ষীরায় ২৭ মণ, রংপুরে আবার কিছুটা কম হয়েছে, কোথাও কোথাও ২৩ মণ বিঘাতে পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে দেশের যে ১০ টি জায়গায় বিনা ধান-২৫ আবাদ হয়েছে, সেই মাঠ মূল্যায়ণ বিবেচনা করে দেখা গেছে, এ জাতের ধান উৎপাদনে অন্য জাতের চেয়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি ফলন পাওয়া গেছে।’
বিনা ধান-২৫
২০২২ সালে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) কর্তৃক উদ্ভাবিত বিনা ধান ২৫ জাতীয় বীজ বোর্ডের ছাড়পত্র পায়। ব্রি ধান-২৯ এর বীজে কার্বন আয়ন রশ্মি প্রয়োগ করে জাতটি তৈরি করা হয়েছে। জাতটি উদ্ভাবনে ২০১৩ সাল থেকে কাজ চলছিল। গতবছর জাতটি অবমুক্তির মধ্য দিয়ে মাঠ পর্যায়ে চাষের অনুমতি পাওয়া যায়। আর এ বছর দেশের প্রায় ৪০০ উপজেলায় জাতটির আবাদ হয়েছে।
ধানের বৈশিষ্ট্য
বোরো ধানের এ জাতটি উচ্চফলনশীল, স্বল্প মেয়াদী, আলোক অসংবেদনশীল ও উন্নত গুণাগুণ সম্পন্ন। এর ডিগ পাতা চ্যাপ্টা ও ধান পরিপক্ক হওয়ার পরও গাঢ় সবুজ থাকে বিধায় শীষের গোড়ার ধানও পুষ্ট হয়। এ জাতের ধানের গাছ লম্বা ও শক্ত। ফলে হেলে পড়ে না। পূর্ণ বয়স্ক গাছের উচ্চতা ১১৬ সেন্টিমিটার। প্রতি গাছে ১৫ থেকে ২০টি কুশি থাকে। ছড়ার দৈর্ঘ্য গড়ে ২৯.০ সেন্টিমিটার লম্বা। প্রতি শীষে পুষ্ট দানার পরিমাণ ২৮০ থেকে ২৯০টি। এ জাতের জীবনকাল ১৩৮ থেকে ১৪৮ দিন এবং গড়ে ১৪৫ দিন। ধানটি উজ্জল রংয়ের, চাল লম্বা এবং চিকন (এল বি অনুপাত ৪:৭৫)। এর ১০০০টি পুষ্ট ধানের ওজন গড়ে ১৯ দশমিক ৭ গ্রাম। ধানের দানায় অ্যামাইলোজের পরিমাণ শতকরা ২৫ দশমিক ১ ভাগ এবং প্রোটিনের পরিমাণ শতকরা ৬ দশমিক ৬ ভাগ। ভাত সাদা, ঝরঝরে ও খেতে সুস্বাদু ফলে বাজারমূল্য বেশি এবং রফতানি উপযোগী। উপযুক্ত পরিচর্যায় বোরো মৌসুমে এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭ দশমিক ৬৪ টন থেকে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৫০ টন। ধানের গাছ লম্বা ও চাল চিকন হওয়ায় কৃষকরা নতুন এই জাতটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার বোরো মৌসুমে দেশের ৩৯৬টি উপজেলায় বিনা ধান আবাদ করা হয়েছে। যেখানে হেক্টেরে গড় ফলন পাওয়া গেছে সাড়ে ৭ থেকে সাড়ে ৮ টন। দেশে এখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত ধানের জাতের মধ্যে বিনা ধান-২৫ সর্বাধিক লম্বা ও সরু। ধান ও চাল অতি লম্বা এবং চিকন হওয়ায় দেশে চিকন চালের আমদানি নির্ভরতা কমবে। জমিতে পানি জমে কিংবা বৈরী আবহাওয়ায় প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়ে গাছ সাময়িক হেলে পড়লেও এ জাতটি ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ফের পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে এবং স্বাভাবিক ফলন দেয়। বিনা ধান-২৫ এর জীবনকাল মাতৃজাত ব্রি ধান-২৯ এর চেয়ে ১৫ থেকে ২০ দিন কম এবং ব্রি ধান-৫০ এর চেয়ে ১০ থেকে ১২ দিন কম। এ জাতের জীবনকাল কম হওয়ায় শস্য বিন্যাসে অন্তর্ভুক্ত করে সহজেই এক জমিতে বছরে ৩ থেকে ৪টি ফসল চাষ করা যাবে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম