Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাহাড়-উপকূল থেকে বাসিন্দাদের সরাতে মাইকিং

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১২ মে ২০২৩ ২০:৪৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট  ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আরও ঘনীভূত হয়ে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে। তাই জানমালের ক্ষতি কমাতে উপকূলীয় এলাকা, সাগর তীরবর্তী জেলে পাড়া এবং নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে চলে যেতে মাইকিং করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুর থেকে এই মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হোছাইন মোহাম্মদ সারাবাংলাকে জানান, পতেঙ্গা, আকমল আলী রোডের বেড়িবাঁধসংলগ্ন জেলে পাড়া ও রাণী রাসমনিঘাটসহ নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলোতে দুপুর থেকে মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেকেই জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছেন। যারা সরিয়ে নেননি তাদের অতিদ্রুত স্থান ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উপকূলীয় উপজেলা যেমন- সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড, মিররসরাইয়েও মাইকিং করা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র আঘাত মোকাবিলায় চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় ১ হাজার ১২০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রায় ১৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চাল-বিস্কুটসহ শুকনো খাবার মজুদ রেখেছে জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

১ হাজার ১২০টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে নগরী ও জেলায় মোট ৫ লাখ এক হাজার ১১০ জনের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ১০৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে জেলা প্রশাসন। সিটি করপোরেশন ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে, যাতে প্রায় এক লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে বলে দাবি সংস্থাটির।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৫ উপজেলা ছাড়াও নগরীতে ৭৫ হাজার ২০০ জনের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৯৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলার মধ্যে উপকূলবর্তী এলাকা বাঁশখালীতে সবচেয়ে বেশি ১২২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে ৯৭ হাজার ৬০০ জন আশ্রয় নিতে পারবেন। দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে ১১৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে ৯২ হাজার ৮০০ জন আশ্রয় নিতে পারবেন।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ পরবর্তী তাৎক্ষণিক তৎপরতার জন্য ৮ হাজার ৮৮০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সারাবাংলা/আইসি/এমও

পাহাড়-উপকূল মাইকিং


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর