Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাগর ছাড়ছে লাইটার জাহাজ, বহির্নোঙরে কার্যক্রম সীমিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১২ মে ২০২৩ ২১:০৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো : ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাব মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-টু’ জারি করেছে। তবে এখনও বন্দরের জেটি এবং বহির্নোঙরে পণ্য ওঠানামা অব্যাহত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশ উপকূলের কাছাকাছি আসার পরিপ্রেক্ষিতে আবহাওয়া অধিদফতর চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত জারির পর বন্দর কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

এদিকে ক্রমশ সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে গভীর সাগর থেকে কয়েক’শ লাইটার জাহাজ কর্ণফুলী নদীতে নিরাপদ আশ্রয়ে ফেরত এসেছে। এর ফলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নৌরুটে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পণ্য পরিবহন কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাসও সীমিত হয়ে পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আবহাওয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ছিলাম। চার নম্বর সিগন্যাল জারির পরপরই আমরা অ্যালার্ট-টু দিয়েছি। সাইক্লোন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সংকেতের ওপর নির্ভর করে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। সংকেত বাড়লে পর্যায়ক্রমে জাহাজ চলাচল ও পণ্য খালাস বন্ধ করে দেওয়া হবে। বন্দর জেটি, চ্যানেল ও হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট ঘূর্ণিঝড়ের কারণে যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য আমরা সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেব।’

ঘণ্টায় দেড়’শ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ উপকূলের সাড়ে নয়’শ কিলোমিটারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আসার পর আবহাওয়া অধিদফতর শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়।  এর আগেই শুক্রবার সকাল থেকে গভীর সাগর থেকে একে একে লাইটার জাহাজগুলো ভিড়তে থাকে কর্ণফুলী নদীতে। নগরীর শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণে কয়েক’শ লাইটার জাহাজ নোঙর অবস্থায় দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘লাইটার জাহাজগুলোকে সদরঘাট থেকে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকার দিকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জেটি ও বহির্নোঙরে থাকা জাহাজগুলোকে ইঞ্জিন চালু রাখতে বলা হয়েছে, যেন তাৎক্ষণিক নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পারে। বন্দরের নিজস্ব জাহাজগুলোকে নিরাপদে নোঙর করে রাখতে বলা হয়েছে।’

লাইটার জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেলের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশীদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘সাগরের পরিস্থিতি তেমন ভালো না। লাইটার জাহাজগুলো এমনিতেই কাজ করতে পারছে না। চার নম্বর সিগন্যাল ওঠার আগেই আমাদের প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ জাহাজ চলে এসেছে। আমরা সেগুলো শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণে রাখার জন্য বলেছি। তবে বহির্নোঙরে ইমার্জেন্সি লোডিং-আনলোডিং বন্ধ করা হয়নি। সেক্ষেত্রে কিছু লাইটার জাহাজ এখনও বহির্নোঙরে আছে, সেটা সংখ্যায় বেশি না।’

ইনল্যান্ড ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইভোয়াক) সভাপতি হাজী শফিক আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘নৌরুটে পণ্য নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। এজন্য গত (বৃহস্পতিবার) রাত থেকেই লাইটার জাহাজগুলো জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মুভ না করতে বলা হয়েছে। আমাদের চার’শর মতো লাইটার জাহাজ কর্ণফুলী নদীতে এসে গেছে। এর মধ্যে পণ্যবোঝাই জাহাজ আছে, খালি জাহাজও আছে।’

সারাবাংলা/আরডি/একে

ঘূর্ণিঝড় বহির্নোঙর মোখা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর