ঘূর্ণিঝড় মোখা: ঝুঁকিতে চার জেলার ৫৭ লাখ মানুষ
১৪ মে ২০২৩ ০৯:৩৯
ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার জেলায় আঘাত হানতে পারে এমন তথ্যই দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। কিন্তু এক জেলার ওপর দিয়ে অতিক্রম করলেও এর রেশ পড়বে দেশের উপকূলীয় আরও ৪ জেলার অন্তত ২০টি উপজেলায়। এ তথ্য বাংলাদেশে দুর্যোগ নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর জোট ‘নিড অ্যাসেসমেন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপে’র।
গ্রুপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে বিশ্লেষণ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ৪ জেলার ২০ উপজেলার ওপর ৯৩ কিলোমিটার বা তার বেশি গতিতে ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রম করবে। এতে ওই সব জেলার প্রায় ৫৭ লাখ মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছেন।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ঝুঁকিতে থাকা এলাকায় ৭ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি কাঁচা ঘর ও ঝুপড়ি ঘর রয়েছে। এসব ঘর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অথবা ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কক্সবাজারের মধ্যে টেকনাফ ও উখিয়া, চকরিয়া ও মহেশখালী ঝড়ের বাতাস ও বৃষ্টির কারণে উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। রাঙামাটির বিলাইছড়ি ও জুয়াছড়ি এবং বান্দরবানের আলীকদমও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পড়েছে।
চট্টগ্রামের জেলাগুলোর মধ্যে চকরিয়াতে উচ্চঝুঁকি এবং বাঁশখালী, লোহাগড়া ও সাতকানিয়ায় মাঝারি মাত্রার ঝুঁকি রয়েছে। এসব জেলায় ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার বেড়ে ঝড়ো বাতাস বইতে পারে। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে পাহাড় ধসেরও আশঙ্কা রয়েছে।
এসব এলাকার বাইরে উপকূলীয় দ্বীপগুলোর মধ্যে সেন্টমার্টিন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। সেখানে শতাধিক পর্যটন হোটেল ও মোটেল রয়েছে। তবে শনিবার এসব পর্যটনকেন্দ্রের কর্মীরা টেকনাফ ও কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে, রোববার (১৪) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অনুবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
সারাবাংলা/জেআর/এমও