Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে সন্ধ্যায় ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৪ মে ২০২৩ ১৪:০৪

ঢাকা: কক্সবাজার উপকূল থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। যতই ঘনিয়ে আসছে তত বাড়ছে বাতাসের গতি। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, বর্তমানে বাতাসের গতি বেড়েছে ২২০ কিলোমিটার। এই গতিতে এগোতে থাকলে দুপুর দুইটার পরপরই বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে এর প্রভাব রাজধানী ঢাকায় তেমন পড়বে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়াবিদ আজিজুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব অনেক বেশি। যে কারণে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ঢাকাতে খুব বেশি পড়ার সম্ভাবনা নেই। সেজন্য ঢাকার চারপাশের নদ-নদীতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ রোববার (১৪ মে) বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ যখন কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করবে তখন ঢাকাতেও বৃষ্টিপাত হবে। সেই সঙ্গে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে হালকা দমকা হাওয়া থাকবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৪ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-২০) বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকার অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ অগ্রসর হয়েছে।

এটি রোববার (১৪ মে) সকাল ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা- সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছিল।

এটি বর্তমানে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রোববার (১৪ মে) বিকাল নাগাদ সিটুয়ের (মিয়ানমার) নিকট নিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শেষ করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

আরও বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (গুন) ০৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত (পুনঃ) ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।

অতি ভারি বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসও হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেখা পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে।

সারাবাংলা/জেআর/এমও

ঘূর্ণিঝড় মোখা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর