Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উপকূলে মোখা, বড় আঘাত হানতে যাচ্ছে মিয়ানমারে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৪ মে ২০২৩ ১৫:০৮

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুসারে রোববার (১৪ মে) সকাল ৯টার থেকে উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। সন্ধ্যা নাগাদ ঝড়টি বাংলাদেশের ভূখণ্ড পার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ তথ্যে বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কমে এসেছে। মূলত অতি প্রবল এ ঘূর্ণিঝড় মূল আঘাত হানবে মিয়ানমারের সিটওয়ে অঞ্চলে।

রোববার (১৪ মে) এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্র কক্সবাজার জেলার টেকনাফের ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরবর্তী অঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করায় বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে ঝুঁকি কমে এসেছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফ এলাকায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার মূল অংশ টেকনাফ থেকে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ দিয়ে অতিক্রম করছে। মিয়ানমারের সিটওয়ে এলাকা দিয়ে অতিক্রম করায় বাংলাদেশের কক্সবাজার, টেকনাফ অঞ্চলে ঝুঁকি এখন অনেকটা কম। বেশিরভাগ ঝুঁকি হবে মিয়ানমারে। আমাদের এইদিকে ঝুঁকি অনেকটা কমে আসছে।’

এর আগে, আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-২০) বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকার অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ অগ্রসর হয়েছে। এটি রোববার (১৪ মে) সকাল ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৮৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কি.মি. দক্ষিণে, মোংলা- সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছিল।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে ঝড়টি কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রোববার (১৪ মে) বিকাল নাগাদ সিটুয়ের (মিয়ানমার) নিকট নিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শেষ করতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

অতি ভারি বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসও হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেখা পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে।

সারাবাংলা/জেআর/এমও

ঘূর্ণিঝড় মোখা টপ নিউজ মিয়ানমার মোখা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর