Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এত ফেয়ার ট্রায়াল কোথাও হয়নি, খালেদা প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল


৮ মে ২০১৮ ১৮:৩০

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার শুনানিতে বিচারিক আদালত থেকে যত ধরনের সুযোগ-সুবিধা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেওয়া হয়েছে- তা আর কোথাও হতে দেখিনি।

তিনি বলেন, “এত স্বচ্ছভাবে কোনো আসামিকে সুযোগ দিয়ে মামলা চালাতে এই দেশে কেন- এই উপমহাদেশে কোথাও দেখিনি।”

মঙ্গলবার (৮ মে) খালেদা জিয়ার মামলার শুনানির পর অ্যাটর্নি জেনারেল তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মামলায় পাঁচজন সিনিয়র আইনজীবী তাদের বক্তব্য রেখেছেন। আর আদালত তাদের বক্তব্য অনুধাবন করেছেন। সেই বক্তব্যগুলো বিশ্লেষণ করে তার বক্তব্য দিয়েছেন। একজন আসামির পক্ষে সচরাচর একজন আইনজীবীই বক্তব্য রাখেন। এখানে পাঁচজন আইনজীবীকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

“এই মামলায় উনি (খালেদা জিয়া) নানাভাবে সময়ক্ষেপন করেছেন। নিম্ন আদালতে মামলাটি নিষ্পত্তি হতে সময় লেগেছে নয় বছর। ২০ থেকে ২২ বার নিম্ন আদালতের বিভিন্ন আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে এসেছেন। সর্বশেষ তার নিজের বক্তব্য দেবেন বলে আদালতে প্রায় এক বছর সময় নিয়েছেন।”

তিনি বলেন, “যে চারটি গ্রাউন্ডে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন, সেটি তুলে আমি সুনির্দিষ্টভাবে আদালতে আমার বক্তব্য রেখেছি। আমি বলেছি, সেই সমস্ত আসামির অল্প সাজার পরেও জামিন দেওয়া যেতে পারে- যখন দেখা যায়, তার সাজা খাটা শেষ হয়ে গেছে আপিল শুনানি হচ্ছে না। কিন্তু এখানে তা নয়। পাঁচ বছরের সাজা, তিনি এখন পর্যন্ত সাজা খেটেছেন চার মাসের মতো।”

“এই মামলার পেপারবুক অলরেডি তৈরি হয়ে গেছে। গতকাল আমাকে পেপারবুক সরবারহ করা হয়েছে অফিস থেকে। আরেকটা বিষয় হাইকোর্ট বিভাগ বিবেচনায় নিয়েছেন, উনি নিম্ন আদালতেও জামিনে ছিলেন। কাজেই এখনও জামিন পেতে পারেন। এর প্রেক্ষিতে বলেছি, তখন যে বিচার হয়েছে তখন উনি দণ্ডিত ছিলেন না, এখন উনি দণ্ডিত। কাজেই বিচারাধীন মামলায় জামিন দেওয়া আর দণ্ডিত ব্যক্তিকে জামিন দেওয়া এক না।”

বিজ্ঞাপন

উনার চিকিৎসার কথা বলা হয়েছে। আমি দেখিয়েছি, উনাদের নিয়োজিত চিকিৎসকই উনাকে শুধুমাত্র একটি নাপা খেতে পরামর্শ দিয়েছেন। আর উনার যে সমস্ত শারীরিক সমস্যা আছে এগুলো ৩০ বছর যাবৎ, ২০ বছর যাবৎ, ১০ বছর যাবৎ- এটা নতুন কিছু না, যোগ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

তিনি বলেন, এটাও আমি বলেছি, উনার ইচ্ছামতো উনাকে একজন সেবিকা দেওয়া হয়েছে। যেটা জেলকোডের বিধানের বাইরে। আবার উনার ইচ্ছামতো উনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক উনাকে দেখেছেন। ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা আবার বাইরে এসে প্রেস কনফারেন্স করেছেন। যেটা উদ্দেশ্যমূলক করেছেন- জামিন পাওয়ার জন্য এটা করেছেন।

“আরও বলেছি, উনার যদি এমআরআই দরকার হয় বা সিটি স্ক্যান দরকার হয়, উনি যে হাসপাতাল পছন্দ করবেন- সেই হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু উনাকে বাইরে কোনো হাসপাতালে রাখা যাবে না, উনার নিজের নিরাপত্তার জন্যই। সর্বশেষ আমি বলেছি, রাষ্ট্র একটি মেডিকেল বোর্ডও করেছেন। মেডিকেল বোর্ড সেই রকম কোনো পরামর্শ দেয়নি- উনাকে বাইরের কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে।”

মাহবুবে আলম বলেন, এখন যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে, পেপারবুক রেডি হয়ে গেছে এই মামলার। যেকোনো দিন আদালতে শুনানি শুরু হতে পারে। শুনানি পেন্ডিং রেখে উনি জামিন পেতে পারেন না। বরং উনার বিরুদ্ধে অভিযোগ যেগুলো আছে, সেগুলো খণ্ডাতে পারেন।

জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে তা মঞ্জুর করতে আবেদন করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

সারাবাংলা/এজেডকে/এটি

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর