Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কারো স্যাংশনের ভয়ে বসে থাকব না: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৫ মে ২০২৩ ২০:৪৮

ঢাকা: র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কথা নাই, বার্তা নাই, ওমনি স্যাংশনের ভয় দেখাবে। আমরা স্যাংশনের ভয়ে বসে থাকব কেন? আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। যারা আমাদের সপ্তম নৌবহরের ভয় দেখিয়েছিল, আমরা সেটাও পার করে বিজয় অর্জন করেছি। একথা ভুললে চলবে না। আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে।’

সোমবার (১৫ মে) বিকেলে গণভবনে সম্প্রতি ত্রিদেশীয় সফর পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) আরোপে ভীত হওয়ার কোনো কারণ আছে কি না— এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কী কারণে স্যাংশন দেবে? যাদের দিয়ে (র‌্যাব) আমরা সন্ত্রাস দমন করলাম। সারা দেশ জঙ্গিবাদ জর্জরিত সেই সময়। আমাদের দেশে একটা ঘটনা ঘটল হলি আর্টিজান। হ্যাঁ, অনেকে বলেছিল এটা বাংলাদেশ একা সামাল দিতে পারবে না। কিন্তু আমাদের ২৪ ঘণ্টাও লাগেনি। সেখানে মানুষ জীবিত উদ্ধার করলাম। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের উপরও আমরা আঘাত হানতে পেরেছি। তারপর থেকে বাংলাদেশে আর তেমন কোনো বড় ঘটনা ঘটাতে পারেনি। কারণ, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি এবং তারা এতো ভালোভাবে সমস্ত জিনিসটায় কাজ করেছে যে আর কোনো ঘটনা ঘটাতে পারেনি। এরপরে স্যাংশনটা কিসের জন্য? সেটাই তো আমার প্রশ্ন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমরা বিদেশ থেকে যে জিনিস ক্রয় করি, সেখানে আমাদের শর্ত থাকবে; যারা আমাদের উপর স্যাংশন দেবে তাদের কাছ থেকে কোনো কিছু কেনাকাটা করব না; পরিষ্কার কথা। কাজেই ভয়ের কী আছে? আমরা তো কারো উপর এরকম নির্ভরশীল না এখন। যেটা নিয়ে সমস্যা হয় সেটা আমরা উৎপাদন করে আমাদের সমস্যার সমাধান করতে পারি। সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী যেখানে এতো মুদ্রাস্ফীতি, যেখানে খাদ্যের অভাব— কে কতটুকু খাবার কিনতে পারবে সেটা এখন সীমিত করে দেওয়া হচ্ছে উন্নত দেশে। যারা বড়লোক তাদের অসুবিধা নেই, সাধারণ মানুষের তো অনেক অসুবিধা হচ্ছে। সেদিক থেকে আমরা তো আমাদের দেশের মানুষকে অন্তত প্রণোদনা দিয়েছি। এবারে রোজার সময় তো মানুষের হাহাকার শোনা যায়নি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস থাকলে একবেলা খেয়ে থাকব। তাতে অসুবিধা নাই। আমাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, এটা-সেটা শুনতে হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয়টা হলো পরের দোষ দিয়ে লাভটা কী? আমাদের দেশের কিছু মানুষই দেশের বদনাম করে। তারা যে দুর্নীতিসহ কত অপকর্মের সঙ্গে জড়িত সেগুলো আমাদের সাংবাদিকরা খুঁজে বের করে না? বের করলে সেখানে অনেককেই পাওয়া যাবে? এরাই বাংলাদেশের বদনাম করবে। আমাদের দেশের লোকরাই তো বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বদনাম করে আসে। সাংবাদিকরা যদি এইদিকটা একটু নজর দেন তাহলে অনেক কিছু পাবেন, অনেক তথ্য পাবেন।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর দুই পাশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অতিথি হিসাবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার (৯ মে) রাষ্ট্রিয় সফর শেষে সকাল ১০টার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। লন্ডন সময় ১৮টা ২০ মিনিটের পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ রাষ্ট্রীয় বিমান প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। এর আগে ২৫ এপ্রিল টোকিওর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

সারাবাংলা/এনআর/আইই

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

মানুষের হিংস্রতা কেন বাড়ছে?
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:৪১

আরো

সম্পর্কিত খবর