Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৫ মে ২০২৩ ২২:০৫

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে ডলার সংকটের কারণে সামনে মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

সোমবার (১৫ মে) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ডলার সংকটে কয়লা আমদানি করতে না পারায় দুইটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এটিই হচ্ছে বাস্তবতা। শুধু এটিই নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি যারা আমদানি করেন তারাও পণ্য আমদানি করতে পারছেন না ডলারের অভাবে। এটির প্রধান কারণ হচ্ছে যে, রিজার্ভের পরিমাণ কমে যাওয়া।’

তিনি বলেন, ‘এটি তো এখনকার অবস্থা। কয়েকদিন পরে তো এ সংকট আরও বাড়বে যখন পদ্মা সেতুর টাকা পরিশোধ শুরু হবে। আজকেই পত্রিকায় এসেছে যে, হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে যে নতুন তৃতীয় টার্মিনাল হচ্ছে সেই তৃতীয় টার্মিনালের জন্য আগামী বছর থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।’

‘সেই টাকা কোত্থেকে আসবে না আসবে এটি বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে যারা ধারণা রাখেন তারা ভালো করেই জানেন। বাংলাদেশ চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে এবং রিজার্ভের পরিমাণ এতই নেমে এসেছে যেটা মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘জাতিকে তিনি (শেখ হাসিনা) ধারণা দিতে চান যে, এখানে বিকল্প কোনো নেতৃত্ব নেই। সেভাবে তিনি এবার সফরটি করেছেন। এই সফর সম্পর্কে তিনি ধারণা দিতে চান যে, এই সফর সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছে। কিন্তু আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মাধ্যমে যে, এই সফরের রেজাল্ট জিরো প্রায়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাপানের সঙ্গে আগে ঠিক হয়েছিল কিছু ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে.. সেটি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি গিয়েছিলেন মূলত বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের সম্পর্কের ওপর একটা সেমিনারে বক্তব্য রাখতে। যেটা খুব আনলাইকলি যে দেশের প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের সেমিনারে গিয়ে বক্তব্য রাখেন। আর আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের যে চুক্তিগুলো হয়েছে সেটি অত্যন্ত শর্তযুক্ত। কঠিন শর্ত এগুলোর মধ্যে রয়েছে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যুক্তরাজ্যে গিয়েছেন রাজার তৃতীয় চালর্সের অভিষেক অনুষ্ঠানে। সেখানে স্বাভাবিভাবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছে, সেটাই স্বাভাবিক সরকার প্রধান হিসেবে, রাজার সঙ্গেও দেখা হয়েছে সেটাই স্বাভাবিক। সেখানেও বিশেষ কোনো অর্জন হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।’

সেনশন দেওয়া দেশের পণ্য বর্জনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটি আমরাও প্রশ্ন উনি কেন হঠাৎ করে এতদিন পরে ওই সেনশনের ওপরে বিষোদগার করছেন। তিনি ভালো জানেন যারা সেনশন দেয় কীভাবে, কিছুদিন আগেও কিন্তু সেনশনের কারণে রাশিয়ার একটি জাহাজ বাংলাদেশ ফেরত দিয়েছে। এখন বাংলাদেশ কি ক্রয় করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে- এটা আমরা সব জানি, তার পরিমাণ বলুন বা তার ভলিউম বলুন-এটাও আমরা সব জানি। সুতরাং এটা তিনি কেন বলেছেন তা আমরা সহজে বুঝতে পারি। তিনি সম্ভবত আমরা মনে হয় ইরিটেডেট হয়ে আছেন। কেন ইরিটেডেট হয়ে আছেন সেটি আমার জানা নেই।’

১০ দফা আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রী-নেতাদের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওনার ময়ূর সিংহাসনের কথা বলেছেন। আমরা ময়ুর সিংহাসনে বসতে অভ্যস্ত নই। আমরা জনগণের কাতারে থেকে জনগণের চেয়ারে বসতে অভ্যস্ত এবং সেটা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে।’

এর আগে, বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকীর কর্মসূচি প্রণয়নে একটি বৈঠক হয়। এতে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবদুল হাই শিকদার, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবি এম ওবায়দুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এ জে ড রিয়াজ উদ্দিন নসু, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এজেড/একে

টপ নিউজ ডলার সংকট বিএনপি মির্জা ফখরুল


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর