বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু ও বাল্যবিয়ের হার কমছে : ইউএনএফপিএ
১৫ মে ২০২৩ ২৩:৫১
ঢাকা: বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু ও বাল্যবিবাহের হার কমছে এবং গর্ভনিরোধক প্রবণতার হার বাড়ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) অধীনস্থ সংস্থা স্টেট অব ওয়ার্ল্ড পপুলেশন। এর পাশাপাশি পাশাপাশি গর্ভনিরোধক প্রচলনের হারও বেড়েছে। এ উল্লেখযোগ্য সাফল্য সত্ত্বেও তিন শূন্য ও এসডিজি অর্জনে আরও অনেক কিছু করতে হবে বলে মনে করছে ইউএনএফপিএ।
বিশ্বের জনসংখ্যা এবং জনসংখ্যার প্রধান উন্নয়ন ও মূল প্রবণতা বিশ্লেষণ করে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সর্বশেষ আদমশুমারি অনুসারে ২০২২ সালে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬৯.৮ মিলিয়নে পৌঁছেছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএফপিএ’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্রিস্টিন ব্লোখুস বলেছেন, বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু হার ১২৩ (প্রতি ১,০০,০০০ প্রসুতিকালীন মৃত্যুতে) উল্লেখ করা হয়েছে, যা সতর্কতার সঙ্গে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। কারণ এটি ইউএনএফপিএ, ডব্লিউএইচও, বিশ্বব্যাংক এবং ইউনিসেফ কর্তৃক একটি নতুন অনুমানের ভিত্তিতে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ৫১ শতাংশ মেয়ের ১৮ বছর বয়সের আগেই বিয়ে হয়ে যায় (১৮ বছর বয়সের আগে ৫০ শতাংশ এবং ১৫ বছরের আগে ২৭ শতাংশ, বিডিএইচএস ২০২২)। তিনি বলেন, এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার সবচেয়ে বেশি।
বয়ঃসন্ধিকালে গর্ভধারণের উচ্চ হার সম্পর্কে ক্রিস্টিন ব্লোখুস বলেন, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী প্রতি এক হাজার মেয়ের মধ্যে বয়ঃসন্ধিকালীন জন্মের হার ৭৪, আর প্রতি চারজন বিবাহিত কিশোরীর মধ্যে একজন এরইমধ্যে সন্তান ধারণ করা শুরু করেছে। গর্ভনিরোধক বিস্তারের হার ৬৪ শতাংশ।
ক্রিস্টিন ব্লোখুস বলেন, নারীদের সন্তান ধারন পছন্দের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বৈচিত্র্য রয়েছে- বাংলাদেশের কিছু নারী তাদের বেঁচে থাকা নিশ্চিত করতে না পারার কারণে সন্তান না নিতে পছন্দ করেন, অন্যরা তাদের পরিবারের আকার কমপক্ষে একটি পুত্র সন্তান দিয়ে বাড়াতে চেয়েছিলেন, যা পরিবারের সুরক্ষায় সহায়তা হিসাবে দেখা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের জনসংখ্যা ১৭৩ মিলিয়ন, যা ২০২৩ এর জন্য একটি অনুমান ভিত্তিক সংখ্যা। আদমশুমারি অনুসারে বাংলাদেশে পুরুষের (৪৯.৫১ শতাংশ) তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি (৫০.৪৩ শতাংশ), যা লিঙ্গ লভ্যাংশ অর্জনসহ সমাজ ও অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে। জনসংখ্যায় বয়স কাঠামোতে ০-১৪ বছর বয়সী ২৬ শতাংশ , ১৫-৬৪ বছর বয়সী ৬৮ শতাংশ এবং ৬৫ বছর বয়সী ৬ শতাংশ- একটি ইতিবাচক জনসংখ্যাগত পরিবর্তন দেখায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে আয়ুস্কাল পুরুষদের জন্য ৭২ এবং মহিলাদের জন্য ৭৬ বছর (২০২১ সালে পুরুষদের জন্য ৭০.৬ এবং মহিলাদের জন্য ৭৪.১)।
সারাবাংলা/এসবি/একে