এরদোগানের ভাগ্য নির্ধারণ ২৮ মে
১৬ মে ২০২৩ ০৩:১৭
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ম্যাজিক নম্বর ৫০ শতাংশ ভোট পাননি কোনো প্রার্থী। ফলে শীর্ষ দুই প্রার্থীকে নিয়ে আগামী ২৮ মে আবারও হবে প্রেসিডেন্ট পদে ভোটগ্রহণ। ২০ বছর ধরে তুরস্কের ক্ষমতায় থাকা রিস্যেপ তাইয়েপ এরদোগান ফের একবার প্রেসিডেন্ট হবেন কি না— তা নির্ধারণ হবে এদিন।
রোববার (১৪ মে) তুরস্কে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়েপ এরদোগান পেয়েছেন ৪৯.৫১ শতাংশ ভোট। বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা কামাল কিলিকদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট। নির্বাচনে অন্য প্রার্থী আতা অ্যালায়েন্সের সিনান অগান পেয়েছেন ৫.১৭ শতাংশ ভোট। ভোটে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে থাকলেও এরদোগান ফের প্রেসিডেন্ট পদ নিশ্চিত করতে পারেননি।
তুরস্কের নিয়ম অনুযায়ী কোনো প্রার্থী এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় শীর্ষ দুই প্রার্থী আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তুরস্কের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেছে কমই।
রান অফে আতা অ্যালায়েন্সের প্রার্থী সিনান অগানের সমর্থন অনুঘটক হয়ে উঠতে পারে। সিনান অগানের সমর্থন এরদোগানের দিকে গেলে সহজেই প্রেসিডেন্ট পদ ধরে রাখতে পারবেন তিনি। অন্যদিকে, সিনান অগানের সমর্থন কামাল কিলিকদারোগ্লু পেলে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে পারেন ৭৪ বছর বয়সী এই বিরোধীদলীয় নেতা।
তবে যেহেতু ২৮ তারিখ নতুনভাবে ভোটগ্রহণ হবে তাই জোট বা সমর্থনের এ হিসাব শুধুই কাগজে কলমে। নতুন ভোটের দিন ভোটাররা যদি আগের প্রার্থী পরিবর্তন করেন তাহলে একেবারেই নতুন হিসাব দেখা যাবে। তাই রান অফের আগে দুই সপ্তাহ এরদোগান ও কামাল নিজের ভোট ধরে রাখার পাশাপাশি প্রতিপক্ষ ও তৃতীয় প্রার্থীর ভোট নিজের দিকে টানার চেষ্টা করবেন। সে লক্ষ্যেই প্রচারাভিযান ও কৌশল সাজাবেন তারা।
সিনান অগান অবশ্য জানিয়েছেন এখনই তিনি কাউকে সমর্থন দিচ্ছেন না। ৫৫ বছর বয়সী এই নেতা বলেন, এই মুহূর্তে আমরা বলব না যে, অমুক বা তমুককে সমর্থন দিচ্ছি। যারা সন্ত্রাসবাদ থেকে দূরে থাকতে পারবে না, তারা যেন আমাদের কাছে না আসে।
তবে কুর্দিপন্থীদের কোনো ছাড় না দেওয়ার শর্তে রাজি হলে তিনি কামালকে সমর্থন দিতে পারেন বলে ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ভোট রান অফ বা দ্বিতীয় ধাপে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় এক টুইট বার্তায় এরদোগান দাবি করেন, তার দেশ বিশ্বকে একটি উন্নত গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি দেখিয়েছে। তিনি বলেন, গতকাল যে পরিপক্বতা দেখা গেছে তাতে তুরস্ক দেখিয়েছে যে এটি বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির দেশগুলোর মধ্যে একটি। ২৮ তারিখ আমি ঐতিহাসিক বিজয় পাব।
সারাবাংলা/আইই