স্ট্রেচারে শুয়ে আদালতে রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান, জামিন মঞ্জুর
১৬ মে ২০২৩ ১৫:৫৪
ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম।
মঙ্গলবার (১৬ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ মেডিকেলের স্ট্রেচারে এসে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন হুমায়ুন খাদেম।
এরপর জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী শফিকুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর রফিকুল ইসলাম জুয়েল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ইকবাল হোসেন আগামী ধার্য তারিখ (৪ জুন) পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সোহানুর রহমান জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি রাজধানীর গুলশান এলাকার ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে আটজনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- রাজউকের সাবেক পরিচালক আব্দুর রহমান ভূঞা (এ আর ভুঞা), প্লট বরাদ্দ পাওয়া আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান, সহিউজ্জামানের স্ত্রী কামরুন নেছা, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিয়ার রহমান।
অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর গুলশান মডেল টাউনের ৮৩ নম্বর রোডে ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশের প্লটটির মালিক ছিল প্রিন্স করিম আগা খানের মালিকানাধীন পিপলস জুট মিল। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট আদেশে সম্পত্তিটি পরিত্যক্ত ঘোষিত হওয়ায় এর মালিক হয় সরকার। ১৯৯২ সালে এখানে নতুন চারটি প্লট করা হয় যেগুলোর হোল্ডিং নম্বর হচ্ছে- ২৮, ২৮(এ), ২৮(বি) ও ২৮(সি)। প্লটগুলো অবৈধভাবে আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান মোশাররফ হোসেন, জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এর মধ্যে জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমান প্লটের দখলে রয়েছেন। অপর দুটি হাতবদল হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে রাজউক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেখানে পরবর্তী সময়ে গুলশান মডেল টাউনের অধীনে ইমারত নির্মাণ করা হয়।
২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সেলিনা আখতার। ওই বছরের ১০ মে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে নেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত।
সারাবাংলা/এআই/পিটিএম