শেখ হাসিনা ফিরেছেন বলেই উন্নত অভিযাত্রার বাংলাদেশ পেয়েছি
১৬ মে ২০২৩ ১৮:০৬
ঢাকা: শেখ হাসিনা ফিরেছেন বলেই আমরা উন্নত অভিযাত্রার এক বাংলাদেশ পেয়েছি— এমন মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।
বুধবার (১৭ মে) বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত-বিবৃতিতে তারা এ মন্তব্য করেন।
যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পান। পরবর্তী সময়ে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
তারা আরও বলেন, দীর্ঘ ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের পর সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তাদের তৈরি করা শত বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। ঐতিহাসিক এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের তাই রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।
এই দিনটি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমি যখন বিমানবন্দরে অবতরণ করি তখন আমি আমার নিকটাত্মীয়দের কাউকে পাইনি, কিন্তু লাখো মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এটাই আমার একমাত্র শক্তি এবং আমি এই শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি ফিরে এসেছেন বলেই আমরা উন্নত অভিযাত্রার এক বাংলাদেশকে পেয়েছি বলে যুক্ত বিবৃতে তারা মন্তব্য করেন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের এই দুই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শত ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার এখনও চলছে। কিন্তু তার পরেও বাংলাদেশের মানুষ তার ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন। তাই ১৭ মে তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুধু একজন নেত্রীর প্রত্যাবর্তন ছিল না, ছিল দেশে অসাংবিধানিক সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অধিকার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রত্যাবর্তন; সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের উত্থানের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িকতা, শান্তির দর্শন ও মানবতাবাদের প্রত্যাবর্তন; দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় বিনির্মাণের লক্ষ্যে সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রত্যাবর্তন।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর, খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়ন ইত্যাদির মাধ্যমে শেখ হাসিনা তা অব্যাহতভাবে প্রমাণ করে চলেছেন। প্রযুক্তিতে পশ্চাৎপদ বাংলাদেশকে তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণকে তিনি পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।
বিবৃতিতে শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানান।
সারাবাংলা/পিটিএম