দাখিল পরীক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
১৬ মে ২০২৩ ২০:৪২
পটুয়াখালী: জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় এক দাখিল পরীক্ষার্থীকে চড়-থাপ্পড়, লাথি মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্বাস উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত এএসআই আব্বাস উদ্দিন রাঙ্গাবালী থানায় কর্মরত আছেন। মঙ্গলবার ( ১৬ মে) দুপুরে উপজেলার হালিমা খাতুন মহিলা কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্র এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরীক্ষা শেষে কয়েকজন পরীক্ষার্থী অন্যান্য সহপাঠীদের অপেক্ষায় কেন্দ্রের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় এএসআই আব্বাস গিয়ে তাদের গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। এ সময় জুনাইদ আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী তার কাছে এর কারণ জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে জুনাইদকে চড়-থাপ্পড় এবং ধাক্কা দিয়ে সড়কে ফেলে মারধর করেন তিনি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জুনাইদ আহমেদ জানান, আগামীকাল বুধবার (১৭ মে) ব্যবহারিক পরীক্ষা। এজন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষক তাদের পরীক্ষা শেষে দাঁড়াতে বলেছেন। এজন্য তারা কয়েকজন শিক্ষার্থী কেন্দ্রের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন এএসআই আব্বাস গিয়ে তাদের বাহিরে দাঁড়াতে বলে। পরীক্ষা শেষে শিক্ষক তাদের দাঁড়াতে বলেছেন— এ কথা বলার পরও এএসআই আব্বাস তাদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। তাদের অপরাধ কি জানতে চাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার কলার ধরে ধাক্কাতে ধাক্কাতে মাটিতে ফেলে চড়-থাপ্পড় ও লাথি দেন।
এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. ইসান বলেন, ‘চোখের সাওমনে সব কিছু ঘটলেও তারা প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। ওই এএসআইয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তারা।’
রাঙ্গাবালী উপজেলার দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সচিব মাওলানা মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘পরীক্ষা শেষে চলে আসছি। পরে শুনি গেইটের সামনে এ ঘটনা ঘটছে। এভাবে একজন শিক্ষার্থীকে পুলিশ পেটাতে পারে না। এ বিষয়ে থানার ওসি’র সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এএসআই আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘মারধর করা হয়নি। স্থান ত্যাগ করতে বলেছি। সরে নাই। তাই ধাক্কা দিলে পরে যায়। লথি-থাপ্পড় দেওয়া হয়নি।’
রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘এটা দুঃখজনক ঘটনা। মারধর বা ধাক্কাই কেন দিতে যাবে? বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।’
সারাবাংলা/এনএস