Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গণতন্ত্র মঞ্চের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৭ মে ২০২৩ ১২:২৮

ঢাকা: সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে ১৪ দফার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

বুধবার (১৭ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচার বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সংহতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

কর্মসূচি হচ্ছে- আগামী ২৩ মে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রা। ২৮ মে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে মালিবাগ রেলগেট থেকে বাড্ডা পর্যন্ত পদযাত্র।

এ ছাড়া আগামী ৪ জুন থেকে ৭ জুন পর্যন্ত ঢাকা থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত রোডমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। আর জণগনের ভোটাধিকার আদায়সহ সরকার পতনের জন্য সময়মত চুড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা জানায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গণ তন্ত্রমঞ্চের নেতা মাহামুদুর রহমান মান্না, জোনায়েদ সাকি, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও আ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এ বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। কিন্তু সরকার ও সরকারি দল ক্ষমতায় থেকে আবারও আর একটি তামাশার নির্বাচনের পাঁয়তারা করে চলেছে। এ জন্য সরকার একদিকে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের গ্রেফতার, হয়রানিমূলক মামলা, সাজানো মামলায় শাস্তি প্রদান, নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। অন্যদিকে ধারাবাহিকভাবে নানা মিথ্যা প্রচারণা আর কুটকৌশল অব্যাহত রেখেছে।

আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োাজনীয় জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্য, গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানির দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের সাধারণ মানুষের জীবনে চরম দুর্যোগ নেমে এসেছে। সর্বক্ষেত্রে চরম অব্যবস্থাপনা, চুরি, দুর্নীতি, সীমাহীন লুটপাট ও অর্থপাচার দেশ ও জনগণকে এক অসহনীয় অবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে। সরকার যে দেশ চালাতে পারছে না তা স্পষ্ট।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জবরদস্তি করে যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকতে দেশ ও জনগণকে তারা গভীর সংকটে নিপতিত করেছে। কিন্তু সরকার ও সরকারি দলের গলাবাজি বন্ধ নেই। গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে আমরা বলে আসছি এ রকম ব্যর্থ, আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত, ভোটের অধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার হরণকারী সরকারের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে দেশ চলতে পারে না। এ রকম এশটি আগ্রাসী দখলদার সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের কোনো অবকাশ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ১৫ মে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তার নেতৃত্বে সংসদে থাকা তার রাজনৈতিক মিত্রদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় আমাদের কাছে। এই ধরনের সরকার বর্তমান কর্তৃত্ববাদী নিপীড়নমূলক সরকারেরই সম্প্রসারণ। আর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের তামাশাপূর্ণ জ্বালিয়াতির নির্বাচন প্রমাণ করেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ন্যূনতম কোনো অবকাশ নেই। সে কারণে আমরা নির্বাচনের পূর্বে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদের বিলুপ্তি, অন্তর্র্বতীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা এবং সর্বোপরি সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের সুনির্দিষ্ট ১৪ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছি এবং এর ভিত্তিতে আমরা যুগপৎ ধারায় বিএনপিসহ বিরোধী দলসমূহের সঙ্গে গণসংগ্রাম জোরদার ও বিস্তৃত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গণ আন্দোলন যত জোরদার হচ্ছে সরকার তত বেসামাল হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্য বিবৃতিতেও তা পরিস্কার বেরিয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী ও তার প্রকার যে চরম হতাশা ও অস্থিরতায় ভুগছেন সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা ও সরকারের গৃহীত ক্ষেপ থেকেও তা স্পষ্ট ধরা পড়েছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া দেশ থেকে কোনো কিছু না কেনার সিদ্ধান্ত হটকারি ও আত্মঘাতী কিনা সচেতন মহলে ইটোমধ্যে এই প্রশ্ন গুরুতরতর হয়ে দেখা দিয়েছে। এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে তারাও যদি বাংলাদেশ থেকে কোনো কিছু না কেনার সিদ্ধান্ত নেয় তার সম্ভাব্য ফলাফল কি হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও তার রফতানি বাণিজ্য (যে বড় ঝুঁকির মধ্যে নিশ্চিত হবে এই আশংকা নিশ্চয় অমূলক নয়। আর খুব আকস্মিকভাবে ঢাকায় অবস্থানরত ছয় দেশের কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রটোকল প্রত্যাহারের ঘটনাও কুটনৈতিক সম্পর্ক ও বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে অবিশ্বাস ও অস্থিরতার তৈরী করবে তা অনুমান করা কঠিন নয়।

বিজ্ঞাপন

সরকারের এইসব আচরণ থেকে এটা পরিষ্কার বোঝ যাচ্ছে যে, বিশাল বহর নিয়ে তিন দেশে প্রধানমন্ত্রীর ১৫ দিনের সফরে দেশ ও সরকারের জন্য তেমন কিছু অর্জিত হয়নি; অর্থাৎ ক্ষমতায় থেকে আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে কথিত এইসব উন্নয়ন অংশীদারদেরকে তিনি ম্যানেজকরতে পারেননি। গত ১৫ মে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন, বিবিসিকে দেওয়া তার সাক্ষাৎকার ও সরকারের পদক্ষেপেই তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এসব তৎপরতায় সরকারের রাগ আর ক্ষেত্রেও বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।

গণতন্ত্রমঞ্চ থেকে গণঅধিকার পরিষদ বেড়িয়ে গিয়েছে এতে করে আপনাদের গণতন্ত্রমঞ্চের কায়ক্রমের ক্ষেত্রে স্তবিরতা দেখা যায়। তাদের মঞ্চ থেকে বেড়িয়ে যাওয়ায় মঞ্চের আর কতটুকু ক্ষতি হয়েছে? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে গুসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বায়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘গণ তন্ত্রমঞ্চের কার্যক্রম চলছে। কোনো প্রভাব পরেনি। গণ তন্ত্রমঞ্চের কার্যক্রম স্খবির হয়নি।’

নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে এসেছে। আপনারা যেসব কর্মসূচি দিচ্ছেন তাতে করে দাবি আদায় করা বা সরকার পতন করা কি সম্ভব? সাংবাদিকদের এমন আর একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সময় মতো চুড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/ইআ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বিপদসীমার ওপরে পানি, ৪৪ জলকপাট খোলা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৬

তৃতীয় দিনের খেলাও পরিত্যক্ত
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৪

সিটিকে সরিয়ে শীর্ষে লিভারপুল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২০

পদ্মায় কমেছে পানি, থামছে না ভাঙন
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৯

সম্পর্কিত খবর