কলকাতার জেলে প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের ওপর দু’বার হামলা হয়েছে। যে ব্যক্তি জেলখানায় পিকে হালদারের ওপর হামলা করেছেন তিনি পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে লুকিয়ে থাকা এবং হামলার পরিকল্পনার দায়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এই খবরটি প্রকাশ করেছে। সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী পিকে হালদারের ওপর হামলাকারীর নাম হাফিজুল মোল্লা।
২০২২ সালের জুলাই মাসে হাফিজুল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির কনফারেন্স হলের পিছনে রড হাতে ধরা পড়েন। এতে ভারতের রাজ্যটিতে হইচই পড়ে যায়। প্রশ্ন ওঠে মূখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। ধরা পড়ার পর হাফিজুল মানসিক প্রতিবন্ধীর মতো আচরণ করছিলেন। কিন্তু পরে চিকিৎসকের শারীরিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়, অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী হাফিজুল মোল্লা মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। এরপরই তাকে আলিপুর প্রেসিডেন্সি কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। সেই কারাগারেই বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিকে হালদারকে দুইবার পেটালেন হাফিজুল মোল্লা।
গত ১৮ এপ্রিল আলিপুর প্রেসিডেন্সি কারাগারে সেলে বন্দি পিকে হালদার প্রথম আক্রান্ত হন। সেদিন পিকে হালদার ও হাফিজুলের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এসময়ে দু’জনে একই সেলে ছিলেন। পরে দু’জনকে সেল বদলে দেওয়া হয়। এরপর ২২ এপ্রিল সেলের বাইরে আবারও পিকে হালদারের ওপর হামলা করেন হাফিজুল। দুই হামলার ঘটনাতেই সামান্য আহত হয়েছেন পিকে হালদার। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসাও দেওয়া হয় বলে কারাগারের সূত্রে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। তবে হাফিজুল কেন পিকে হালদারের ওপর হামলা করেছেন তা জানা যায়নি।