নেত্রকোণা পৌর মেয়রকে হাইকোর্টে তলব
১৭ মে ২০২৩ ১৭:৩১
ঢাকা: নেত্রকোণার পৌর সুপার মার্কেট ভবন ১০ বছরেও নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ না করায় পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম খানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২২ মে তাকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১৭ মে) বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. মাহমুদুল হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তৌফিক ইনাম। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. অনিক হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমী।
পরে আইনজীবী তৌফিক ইনাম জানান, ২০১২ সালে নেত্রকোণা পৌর সুপার মার্কেটে বরাদ্দ গ্রহীতাদেরকে বিদ্যমান একতলা মার্কেট ভবনটি ভেঙ্গে চার তলা করা হবে- মর্মে ঘোষণা দিয়ে বরাদ্দ গ্রহীতা ব্যবসায়ীদের ভবন খালি করার নোটিশ প্রদান করা হয়। উক্ত নোটিশের বিরুদ্ধে বরাদ্দ গ্রহীতাদের পক্ষে লিপি হক ও অন্যান্যরা ২০১২ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। উক্ত রিট মামলাটি চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রায় দেন আদালত।
রায়ে বলা হয়, যেহেতু পৌর কর্তৃপক্ষ বিদ্যমান এক তলা মার্কেট ভবনটি অনতিবিলম্বে ভেঙ্গে চার তলা করা হবে এবং সেখানে রিট আবেদনকারী- বরাদ্দ গ্রহীতাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে- মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। উক্ত প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রিট আবেদনকারীদের মার্কেট ভবনটি ৩০ দিনের মধ্যে খালি করার নির্দেশ দেন এবং একই সঙ্গে নতুন ভবনের নিচতলায় এবং দ্বিতীয় তলায় দোকান বরাদ্দ দেওয়ার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
রিট আবেদনকারী বরাদ্দ গ্রহীতাগণ যথারীতি নতুন মার্কেট ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে দোকান খালি করে দিলেও গত ১০ বছরে পৌর কর্তৃপক্ষ মার্কেট ভবন নির্মাণের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি, বরং ওই জায়গা খালি অবস্থায় ফেলে রেখেছেন। এ কারণে সরকার যেমন একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে বরাদ্দ গ্রহীতাগণ দোকান তথা ব্যবসা হারিয়ে নিরূপায় হয়ে পড়েছেন।
সে জন্য বরাদ্দ গ্রহীতা লিপি হক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম আজাদ পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি ও সে মোতাবেক হাইকোর্টের রায় প্রতিপালন না করায় ২০১৯ সালে হাইকোর্টে আরেকটি রিট দায়ের করেন।
আজ এই রিটের শুনানি নিয়ে নেত্রকোণা পৌর কর্তৃপক্ষের এ ধরনের কার্যক্রমের ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য মেয়রকে আগামী ২২ মে স্বশরীরে হাজির হতে তলব করেছেন আদালত।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ