ঢাকা: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে তলবের কোনো সিটি নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, জনগণের পারসেপশন যাই হোক না কেন, দুদক তার বিধি মোতাবেক কাজ করছে।
বুধবার (১৭ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে দুদক মো. মাহবুব হোসেন এসব কথা বলেন।
দুদক সচিব বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে ২০২০ সালের একটি অভিযোগ ও ২০২২ সালের আরেকটি অভিযোগ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এরইমধ্যে অনেকেরই বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। অনেক কাগজপত্রও সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযোগের অনুসন্ধানের শেষ পর্যায়ে তার (জাহাঙ্গীর আলম) বক্তব্য নেওয়া প্রয়োজন মনে করছে। আর এই কারণেই তাকে তলব করা হয়েছে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।
দুদক সচিব বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর বিধি অনুযায়ী অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য নেওয়ার বিধান রয়েছে। তিনি যদি না আসেন তাহলে দুদকের বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নোটিশ পেয়েও যদি জাহাঙ্গীর আলম না আসেন তাহলে কি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব বলেন, ‘তিনি যদি না আসেন তাহলে তার জন্য এটা ক্ষতিকর হবে। তখন তদন্ত কর্মকর্তা তার বক্তব্য ছাড়াই ব্যবস্থা নিবেন। আর এটা তার বিরুদ্ধেও যেতে পারে।’
গত ১৫ মে আওয়ামীলীগ থেকে সাবের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে, পরদিন ১৬ মে দুদক তাকে তলব করে চিঠি দিয়েছে।
ফলে এই দুই বিষয়ের সঙ্গে কোনো মিল রয়েছে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব আবারও বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলমকে ডাকার সঙ্গে নির্বাচন কিংবা বহিষ্কারের কোনো সম্পর্ক নেই।’
আরও পড়ুন: এবার গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে দুদকে তলব