Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ধন-সম্পদ বেশি করলে বদনাম নিয়ে মরতে হয়’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৭ মে ২০২৩ ১৯:০৯

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধন-সম্পদ কারও চিরদিন থাকে না। আর মরলে কেউ কিছু সঙ্গে নিয়ে যেতে পারে না। কিন্তু বেশি করলে বদনামটা নিয়ে যেতে হয়। কাজেই সেটা যেন না হয়। কারণ, কোনো কিছুই স্থায়ী নয়।

বুধবার (১৭ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গণভবনে দলের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। বেলা ১১টার পর গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরাসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা বঙ্গবন্ধু কন্যার সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের পর ছয় পর বিদেশে নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরার স্মৃতিচারণ করে আবেগঘন হয়ে পড়েন শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালের আজকের দিনে স্বদেশে ফেরার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘যেদিন ফিরে আসি সেদিন তো আমার চেনামুখগুলো পাইনি। কিন্তু পেয়েছিলাম এদেশের জনগণ আর আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে। সেই থেকে এই আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকের দিনে এইটা বলব, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এটা ধরে রেখে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে সবাইকে। এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই চলতে হবে।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা বাংলাদেশের কল্যাণে চিন্তা-ভাবনা করে। বাকিগুলো তো লুটেরার দল। তারা কোনোদিন জনগণের কল্যাণে কাজ করে না। কাজেই সেই কথাটা মাথায় রাখতে হবে। ওই সন্ত্রাসীর দল, খুনির দল বা যুদ্ধাপরাধীর দল যেন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে- সেদিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের নির্দিষ্ট সংখ্যক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিনিয়র নেতারা শুরুতে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এ সময় দলের নেতাদের মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর বিভিন্ন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

প্রসঙ্গত, ৪৩ বছর আগে দলের ঐক্যের প্রতীক হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে আসেন। ১৯৮১ সালের এই দিনে দীর্ঘ ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে তিনি স্বদেশের মাটিতে ফেরেন। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বিদেশে অবস্থান করার কারণে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

১৫ আগস্টের ঘটনার পর দিশাহীন বিভক্ত আওয়ামী লীগের ঐক্যের প্রতীক হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্বভার কাঁধে নিয়ে দেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তনের পর থেকে এই দীর্ঘ ৪৩ বছরের পথচলায় নিজ আলোয় যাত্রার জয়রথ ছুটিয়ে বিশ্বসভায় বাংলাদেশের স্থান পাকাপোক্ত করে চলেছেন।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

টপ নিউজ ধনসম্পদ প্রধানমন্ত্রী বদনাম শেখ হাসিনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর