দোকান বরাদ্দে অনিয়ম করেননি সাঈদ খোকন: পিবিআই
১৭ মে ২০২৩ ২১:৫৬
ঢাকা: রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়ীয়া সুপার মার্কেট-২ এ দোকান বরাদ্দে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই পরিদর্শক এ জেড এম মনিরুজ্জামান। বুধবার (১৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত সেই প্রতিবেদন গ্রহণ করে সাঈদ খোকনসহ ৭ জনকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর এই মামলা দায়ের করেন মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু। ওইদিনই আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
মামলায় সাঈদ খোকন ছাড়াও সাতজনকে আসামি করা হয়। অপর ব্যক্তিরা হলেন- ডিএসসিসির সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২-এর ব্লক-এ, বি, সি মূল বিল্ডিংয়ের মূল নকশাবহির্ভূত অংশ হিসেবে স্থাপনা তৈরি করে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেয়। ওই ঘোষণার পর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে যোগাযোগ করেন। তখন আসামিরা তাদের টাকা জমা দিতে বলেন। আর যাদের নামে দোকান বরাদ্দ আছে তাদের ভুল বুঝিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২-এর মূল নকশা বহির্ভূত এক্সটেনশন ব্লক-এ, বি, সি-তে দোকান না নিলে মূল মার্কেটের দোকান মালিকদের দোকানের বরাদ্দ বাতিল ও তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা এক্সটেনশন ব্লকে দোকান নিতে বাধ্য হন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তৎকালীন মেয়রসহ অন্যন্যা আসামিরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা বেনামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে নিয়ে নেয়। এই মামলার বাদী কোটি কোটি টাকা লেনদেনে বাধা দেওয়ায় আসামিরা তার প্রাণহানির চেষ্টা করে। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় বাদী তাদের বিরুদ্ধে জিডি পর্যন্ত করতে সাহস পাইনি। আসামিরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছে কিন্তু কোনো ডকুমেন্ট পর্যন্ত দেয়নি।
সারাবাংলা/এআই/পিটিএম