৭ দেশকে বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের আহ্বান
১৯ মে ২০২৩ ১৩:৩০
ঢাকা: ১৯-২১ মে জাপানের হিরোশিমায় অনুষ্ঠিতব্য ৪৯তম জি-সেভেন সম্মেলনের আগে দেশগুলোর নেতাদের অবিলম্বে বাংলাদেশে ব্যয়বহুল ও জলবায়ুর জন্য ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি-ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের একদল তরুণ জলবায়ু কর্মীরা। একইসঙ্গে দ্রুত টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগের আহ্বান জানান তারা।
শুক্রবার (১৯ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফ্রাইডেস ফর ফিউচার বাংলাদেশ এবং ইউথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস আয়োজিত এক সমাবেশে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগের অবসান এবং জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানিতে দেশের নির্ভরতা কমানোর অঙ্গীকার করেছে।
সমাবেশে তারা জানান, এবারের জি-সেভেন সম্মেলনে বিশ্বনেতারা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংকটের পাশাপাশি জলবায়ু সংকটের মতো জরুরি বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন। বিশ্বনেতারা ২০৩০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ থেকে পর্যায়ক্রমে বেরিয়ে আসার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের এই জি-সেভেন দেশগুলোর নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানো ও ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার বিষয়ে উন্নত দেশগুলোর পরিকল্পনা এবং উদ্যোগগুলো জানা খুবই জরুরি। জি-সেভেন দেশগুলোর সরকার বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জ্বালানি নিরাপত্তায় জোর দেবে এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়ে আর্থিকভাবে ও প্রযুক্তিগত সাহায্য নিয়ে দ্রুতই এগিয়ে আসার দাবি করেন বাংলাদেশের তরুণ জলবায়ু কর্মীরা।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইসিসিসিএডি) পরিচালক অধ্যাপক সালিমুল হকের বরাত দিয়ে তারা বলেন, জলবায়ু সংকট শুধুমাত্র ভবিষ্যতের জন্য একটি বিমূর্ত হুমকি নয়, বরং এটি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ এবং বিশ্বের দুর্বল জনগোষ্ঠীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণ, কিন্তু এই বিপর্যস্থ মানুষগুলো এই ক্ষয়ক্ষতির জন্য সবচেয়ে কম দায়ী।
ইতিমধ্যে, প্রধান অপরাধী-ধনী দেশগুলো এবং জীবাশ্ম জ্বালানি করপোরেশনগুলো তাদের ধ্বংসাত্মক অনুশীলন থেকে মুনাফা চালিয়ে যাচ্ছে। এখনই সময়, তাদের এসকল ক্ষয়ক্ষতির দায়িত্ব নেওয়ার এবং টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করার লক্ষে দুর্বল জনগোষ্ঠীকে তাদের ন্যায্য অর্থ প্রদান করার। তাই অনেক দেরি হওয়ার আগেই, আমাদের উচিত যথাযত দায়িত্ব পালন করা, না হলে আমরা আমাদের সন্তানদের এবং নাতি-নাতনিদের কাছে ঋণী হয়ে থাকব।
প্রসঙ্গত, ১৯-২১ মে জাপানের হিরোশিমায় অনুষ্ঠিতব্য ৪৯তম জি-সেভেন সম্মেলন শুরু হয়েছে। তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে জোটভুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও জাপানের নেতারা অংশ নিয়েছেন।
সারাবাংলা/এআই/এনএস