Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শ্রমিকদের বাঁচার মতো মজুরি নির্ধারণের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৯ মে ২০২৩ ১৫:৩৬

ঢাকা: শ্রমিকদের বাঁচার মতো মজুরি নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে বিপ্লবী শ্রমিক সংহতি। একইসঙ্গে কর্মস্থলে হয়রানি, নিপীড়ন ও ছাঁটাই বন্ধের দাবি করেন সংগঠনটির নেতারা।

শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত কেন্দ্রীয় কাউন্সিল থেকে এই দাবি জানানো হয়।

বক্তারা বলেন, একটা শ্রমিককে মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয়। বর্তমানে বাজার মূল্য এই টাকায় কিছুই হয় না। নিম্ম পর্যায়ে একটা বাসা ভাড়াও ৫ হাজার টাকা। শ্রমিকদের খাওয়া-দাওয়া, সংসার খরচ, ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা কিভাবে এই টাকায় চলে? শ্রমিকদের ঘামের ন্যার্য টাকা দেওয়া হচ্ছে না। বেতন বৃদ্ধি কথা বলতে চাইলে তাদের ওপর চলে নিপীড়ন, অত্যাচার ও চাকরি চলে যাওয়ার হুমকি। যখনই শ্রমিকরা কোনো আন্দোলনে অংশ নেয়, তখনই সরকার প্রধান তাদের বাঁধা সৃষ্টি করে ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ করার হুমকি দেয়। শ্রমিকদের প্রতি সরকারের কোনো দায় দায়িত্ব নেই। শ্রমিকেরা আন্দোলন যাতে না করতে পারে সেই ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। দেশের চরম অবস্থায় মাঠে আছি আমরা। শ্রমিকদের আন্দোলন করেও মূল দাবিগুলো পূরণ হচ্ছে না। বর্তমান সরকার একটি ব্যর্থ সরকার পরিণত হয়েছে। এই সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। শ্রমিকদের আন্দোলন করে তাদের অধিকার আদায় করতে হবে। শ্রমিকদের জন্য শ্রম অধিদফতর নামে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলোর কাজ নাম মাত্র। শ্রমিকদের জন্য তাদেরও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।

বক্তরা আরও বলেন, আমাদের দেশে উন্নয়ন আর উন্নয়ন। চারিদিকে উন্নয়নের গুণগান চলছে। বিশ্বের কাছে দেশ প্রশংসায় ভাসছে। তবে শ্রমিকদের উন্নয়ন কোথা? আমরা (শ্রমিকেরা) মাসে ১০/১২ হাজার টাকা আয় করি। বর্তমান বাজার মূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে কিভাবে এই টাকা একজন শ্রমিকদের সংসার চলে? শ্রমিকদের অধিকাংশ ছেলেদের পড়ালেখা হচ্ছে না। ফলে শ্রমিকদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়েছে। শ্রমিকদের ছেলে-মেয়েদের জন্য দশম শ্রেণি পর্যন্ত ফ্রি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার দাবি করেন তারা।

বিজ্ঞাপন

বক্তরা বলেন, দেশে কোনো ভালো কাজ হলে পুরস্কার চায় অযোগ্য ব্যক্তি। তবে ওই কাজের জন্য কেন শ্রমিকদের পুরস্কার দেওয়া হয় না। দেশের বড় বড় প্রজেক্টগুলো শ্রমিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অথচ শ্রমিকদের কোনো নামই প্রকাশ পায় না। শ্রমিক ছাড়া দেশের কোনো উন্নয়ন করা সম্ভাবন নয়। অথচ তাদের পথে-ঘাটে মার খেতে হচ্ছে। তাদের ন্যার্য় অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে বক্তব্য দেন— সাইফুল হক, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কবীর জামাল সিকদার, মাহমুদ হোসেনসহ প্রমুখ।

সারাবাংলা/এআই/এনএস

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর